উজবেকিস্তানের
রাজধানী তাসখন্দের খাস্ত-ইমাম কমপ্লেক্স মাদ্রাসায় সপ্তম শতাব্দীর একটি
কুরআনের পান্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন কুরআনের এই
পান্ডুলিপিটি তৃতীয় খলীফা হযরত ওছমান (রাঃ)-এর পান্ডুলিপি বলে ধারণা করা
হয়। হযরত ওছমানের মৃত্যুর পর আলী (রাঃ) মদীনায় রক্ষিত কুরআনের সেই কপিটি
নিয়ে যান বর্তমান ইরাকের কূফায়। তৈমুর লং পরবর্তী সময় ইরাকে অভিযান চালিয়ে
ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করার পর কুরআনের সেই কপিটি দখলি সম্পদ হিসাবে তার রাজধানী
তাসখন্দে নিয়ে যান। বর্তমান উজবেকিস্তানের তাসখন্দে সেই কপিটি রক্ষিত ছিল
১৮৬৮ সাল পর্যন্ত। রুশরা তাসখন্দ দখল করে নিলে কপিটির পরবর্তী অবস্থান হয়
রাশিয়ান ইমপেরিয়াল গ্রন্থাগারে। পরবর্তীতে তা পুনরায় স্থান পায় তাসখন্দের
খাস্ত-ইমাম কমপ্লেক্সের অর্ন্তভুক্ত মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার গ্রন্থাগারের
একটি কাঁচের বাক্সে এটি সংরক্ষিত আছে। পাশাপাশি কুরআন বিষয়ে লিখত বিশ
হাযারের কাছাকাছি বই-পুস্তক এই গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে। এছাড়াও তাফসীর,
ফিকহ, হাদীছ, ইতিহাস, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রসহ অন্যান্য বিষয়ের
উপর তিন হাযারের মতো প্রাচীন পান্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে এই গ্রন্থাগারে।
কমপ্লেক্সের আওতায় দু’টি মাদ্রাসা, তিনটি মসজিদ, আল-বুখারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং উজবেকিস্তানের মুসলিম বোর্ড অর্ন্তভুক্ত। পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন এই কমপ্লেক্সটি দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা প্রতিনিয়তই এখানে এসে ভিড় করেন।