মাত্র
দুই হাযার টাকায় মিনি কম্পিউটার তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে
নেত্রকোনার মদন উপযেলার বাড়িভাদেরা গ্রামের মাওলানা মুহাম্মাদ সাঈদুর রহমান
খন্দকারের ছেলে ক্বামারুযযামান আল-হাদী। সে এবার স্থানীয় জাহাঙ্গীরপুর
ফাযিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৪.৩০ পেয়ে দাখিল পাস করেছে। এখন ভালমানের কোন
পলিটেকনিকে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছে। শুধু কম্পিউটার নয়, তার
উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে মিনি হেলিকপ্টার ও মিনি উড়োজাহায। নিজ বাড়িতে
কম্পিউটার ব্যবহারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সে নিজেই তা সারিয়ে নিত।
কম্পিউটার মেরামতে দক্ষ হয়ে উঠলে একপর্যায়ে তার মাথায় আসে নিজেই সে
কম্পিউটার তৈরি করবে। সেই ভাবনা থেকেই মাত্র ছয় মাস চেষ্টার পর অবশেষে সে
সফলতা লাভ করে। ক্বামারুযযামান প্রাথমিকভাবে মোবাইলের মনিটর ব্যবহার করে
টিনের তৈরি সিপিইউর বক্স বানিয়ে তাতে মোবাইলের মাদারবোর্ড ব্যবহার করে
সিপিইউর সংযোগ দিয়ে হাতে লেখা অক্ষর প্রতিস্থাপন করে তৈরি করে কী-বোর্ড। আর
পরিত্যক্ত সিডির চাকা ও টিনের আবরণের মধ্যে তার সংযুক্ত করে তৈরি করে
মাউস। টিনের তৈরি সিপিইউ থেকে একটি তারে সাউন্ডবক্সের সংযোগ দেয়া হয়।
মোবাইলে ব্যবহৃত ব্যাটারির মাধ্যমে চলে তার তৈরি এই মিনি কম্পিউটারে অডিও,
ভিডিও এমএস ওয়ার্ড ও ইন্টারনেট প্রোগ্রাম। একবার ব্যাটারি চার্জ দিলে অন্তত
৪ থেকে ৫ ঘণ্টা চালানো যায় তার এই রিচার্জিং মিনি কম্পিউটার। ছোট আকারের
এই কম্পিউটার তৈরিতে খরচ হয়েছে মাত্র দুই হাযার টাকা। তাকে প্রয়োজনীয়
সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হ’লে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্বল্প টাকায়
উন্নতমানের কম্পিউটার বাযারজাত করা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে সে
উদ্ভাবন করেছে সেচপাম্প, মিনি হেলিকপ্টার ও মিনি উড়োজাহায। ২০১৬ সালে
প্রথমে সে মিনি সেচপাম্পটি মাত্র দুই শ’ টাকা খরচ করে তৈরি করে। এর এক বছর
পর মিনি হেলিকপ্টার ও ২০১৮ সালে মিনি উড়োজাহায তৈরি করে যেলাপর্যায়ে
বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণ করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
[এই বিজ্ঞানী প্রতিভাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। আল্লাহ তাকে আল্লাহর সৃষ্টি কৌশল জানার শক্তি আরও বাড়িয়ে দিন। সে যেন একজন ঈমানদার বিজ্ঞানী হিসাবে সমাজে অবদান রাখতে পারে, সেজন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করি (স.স.)]