ইসলামী
শরী‘আত মোতাবেক দেশ চালানোর কথা পুনর্ব্যক্ত করে ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান
আল-বালক্বিয়া বলেছেন, ব্রুনাই সর্বদা আল্লাহর কাছে অনুগত থাকবে এবং দেশের
আইন-কানূন শরী‘আত অনুযায়ী চলবে। দেশটির রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানের একটি
কনভেনশন সেন্টারে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমি এই দেশে ইসলামী শিক্ষা
শক্তিশালী করতে চাই। সুলতানের এ ভাষণ দেশটির সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে সরাসরি
সম্প্রচার করা হয়।
নাগরিকদের বেশী বেশী ধর্মীয় চর্চার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু মসজিদেই ছালাত আদায়কে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। মানুষের মধ্যে ধর্মীয় প্রেরণা বাড়াতে উন্মুক্ত স্থানে ছালাত আদায় করতে হবে। শরী‘আহ আইনের কারণে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নত হবে জানিয়ে সুলতান বলেন, ব্রুনাই ভ্রমণকারীরা দেশটির নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হবে। এটিই শরী‘আ আইনের দেশ ব্রুনাইয়ের সফলতা। যে কেউ এই দেশে আসার পর একটি সূখকর অভিজ্ঞতা পাবে এবং নিরাপদ ও সুসংহত পরিবেশ উপভোগ করবে।
উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাইয়ে গত ৩রা এপ্রিল ইসলামী শরী‘আহ আইন চালু হয়েছে। নতুন এ আইনে সমকামিতা ও ব্যভিচারের জন্য পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ডের কথা বলা হয়েছে। দেশটির সমকামিতার সমর্থকরা এটাকে মধ্যযুগীয় শাস্তির বিধান হিসাবে অভিহিত করে উদ্বেগ জানালেও দেশটির ৮০ শতাংশ মুসলিম নতুন এ আইনে সমর্থন জানিয়েছেন। ব্রুনাইয়ে নতুন শরী‘আ দন্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তরা যদি নিজেদের ‘সমকামী’ বলে স্বীকার করে অথবা অন্তত চারজন প্রত্যক্ষদর্শী তাদের এ ধরনের কাজ করতে দেখেন, তবেই তাদের সমকামিতার দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত করা যাবে। তাছাড়া চুরির দায়ে অঙ্গচ্ছেদের মতো দন্ডও রাখা হয়েছে আইনটিতে।
[আমরা ইসলামী আইনের বাস্তবায়নকে স্বাগত জানাই। ইনশাআল্লাহ সেদেশে আল্লাহর পক্ষ হ’তে শান্তি ও সমৃদ্ধি নাযিল হবে (স.স.)।]