রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম কারাগার। এটি গত ১০ই এপ্রিল রবিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪ হাযার ৫৯০ জন বন্দীকে রাখার উপযোগী এ কারাগারটিতে প্রাথমিকভাবে শুধু পুরুষ বন্দীদের রাখা হবে। পুরুষ কারাগারটির পাশে নতুন একটি মহিলা কারাগার নির্মাণাধীন রয়েছে।
বর্তমানে পুরনো ঢাকার নাযিমুদ্দীন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নতুন কারাগারটির দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। ১৭৮৮ সালে স্থাপিত পুরান ঢাকার এ কারাগারটি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম এক সাক্ষী।
১৯৮০ সালে বর্তমানের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এটি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হচ্ছে। মোট ১৯৪ দশমিক ৪১ একর জমির ওপর এ কারাগারটি অবস্থিত। ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টম্বর একনেকে অনুমোদন পাওয়ার পরে প্রকল্পটি জমি অধিগ্রহণ করা শুরু করে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৬ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাযার টাকা। কারাগারটির নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হ’লে ৩টি ডিভিশনের পুরুষ-১ এ ৪ হাযার পুরুষ-২ এ ৪ হাযার ও মহিলা কারাগারে ৩০০ জন থাকতে পারবে। ৪টি করে সিলিং ফ্যান সমৃদ্ধ ২০ হাত দৈর্ঘ্য ও ১০ হাত প্রস্থের প্রতিটি কক্ষে ১৩ জন করে কয়েদী থাকতে পারবে।
নতুন এ কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারপাশে ১৮ ফুট উচ্চতার বিশেষ প্যারামিটার দেয়াল এবং তার উপর রেক্টিফাইড ক্যাবল দিয়ে কমপক্ষে ৬ ফুট উঁচু করে ঘিরে রাখা হয়েছে।
ভিআইপিদের জন্য ৬০টি বিশেষ কক্ষবিশিষ্ট ভবন,
কিশোর অপরাধী ও ভারসাম্যহীন বন্দীদের জন্য পৃথক পৃথক ভবন নির্মাণ করা
হয়েছে। এছাড়া গ্রন্থাগার ভবন, ২০০ শয্যার হাসপাতাল, কারারক্ষী ব্যারাক,
কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ভবন, অফিসার্স ক্লাব, স্টাফ ক্লাব, স্কুল, মসজিদ ও
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আলোচনা সভার জন্য মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়েছে।