আয়তনে বিশ্বের অন্যতম
ছোট দেশ বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বে
ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। আর মৌসুমী ফল
উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। ২০ বছর আগে আম
আর কাঁঠাল ছিল এই দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ
হচ্ছে। আগে হ’ত ৫৬ প্রজাতির ফল চাষ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও)
হিসাবে, ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। একই
সঙ্গে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চারটি ফলের মোট উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০
দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয়, আমে সপ্তম ও
পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমী ফল উৎপাদনে
বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দশম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে
গত বছর ১ কোটি ২১ লাখ টন ফল উৎপাদিত হয়েছে। ১০ বছর আগের তুলনায় উৎপাদন ১৮
লাখ টন বেড়েছে। চাষের জমির দিক থেকে সবচেয়ে বেশী জমিতে চাষ হচ্ছে কলা।
তারপর যথাক্রমে আম, পেঁপে ও কাঁঠাল। সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে পেয়ারা ও
লিচুর আবাদ। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর ফল ড্রাগন ফ্রুট, অ্যাভোকাডো,
রাম্বুটান, স্ট্রবেরি, ডুমুর, মাল্টা, বেল, নারিকেল, জাম্বুরা, রংগন, সূর্য
ডিম ও খেজুরের বেশ কয়েকটি জাতের চাষও দেশে দ্রুত বাড়ছে।