তেল বিক্রি
করে সঊদী আরবের যা আয় হয়, তার থেকেও বেশী আয় হয় হজ্জ থেকে। গত বছর হজ্জ
থেকে সউদী আরবের সরাসরি আয় হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। সঊদী আরবে
গমনকারীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন সেখানে গিয়ে। এই অর্থের একটা বড়
অংশ সউদী অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে। মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান
অনুযায়ী, বহিরাগত মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪ হাযার ৬শ’ ডলার। আর
স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১ হাযার ৫শ’ ডলার ব্যয় করেন। উল্লেখ্য, প্রতিটি
দেশ থেকে কত মানুষ হজ্জে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সউদী
সরকার। সঊদী আরবের পর বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সর্বাধিক।
সেখান থেকে ২ লাখ ২০ হাযার মুসলমান প্রতি বছর হজ্জে যান। এটা মোট হজযাত্রী
সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) ও
বাংলাদেশ (৮%)। নাইজেরিয়া, ইরান, তুরষ্ক, মিসরের কোটাও মোটামুটি একই রকম।
হজ্জ নির্দিষ্ট সময়ে হ’লেও সারা বছর ধরে ওমরাহ করা যায়। গত বছর প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে সউদী আরবে গমনকারীদের প্রায় ৮০ শতাংশই ওমরাহ করতে যান। সাত বছর আগে ওমরাহকারীদের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের কাছাকাছি।