গত ৪ঠা
নভেম্বর’১৮ রবিবার দাওরায়ে হাদীছ (তাকমীল) সনদকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামী
শিক্ষা ও আরবী) স্বীকৃতি দেওয়ায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
কওমী মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামি‘আতিল
কওমিয়া বাংলাদেশ’ শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক
১০ লক্ষ আলেমের উক্ত মাহফিলে সারাদেশ থেকে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেমগণ
উপস্থিত হন। হেফাজতে ইসলামের আমীর ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার
মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমাদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মাহফিলের
প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল পৌনে ১১-টায় অনুষ্ঠানস্থলে
পৌঁছেন। অতঃপর দাওরায়ে হাদীছকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান
করায় প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানান মাওলানা আহমাদ শফী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধি দেন কওমী
মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামি‘আতিল কওমিয়া
বাংলাদেশ’র সদস্য এবং কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও
গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুফতী রূহুল আমীন।
ইনি মরহূম মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী (১৮৯৬-১৯৬৯ খৃ.)-এর পুত্র। অনুষ্ঠান
মঞ্চে কওমী আলেম-ওলামার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন
আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুয্যামান
খাঁন কামাল ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
[২০১৩ সালের ৫ই মে ঢাকার শাপলা চত্বরে সরকারী হামলায় নিহত অগণিত কর্মীর আত্মদানকে ভুলে গিয়ে কিছু রুটি-রূযীর সুযোগ বৃদ্ধির জন্য যারা এভাবে বিনা বাক্য ব্যয়ে আত্মবলি দিতে পারেন, সেই সব আলেমদের কাছ থেকে বিবেকবান মানুষ কি আশা করতে পারে? অতএব মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন (স.স.)]