আলোচিত
এই ব্যক্তি হলেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের দ্বীন মোহাম্মদ শেখ। ১৯৪২
সালে একটি হিন্দু পরিবারে জন্ম নেয়া এ ব্যক্তি ১৯৮৯ সালে ৪৭ বছর বয়সে
ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই তিনি উদ্যোগী হন
দ্বীনপ্রচারে। ইতিমধ্যেই তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন প্রায় ১ লাখ ৮ হাযার
মানুষ।
জন্মগতভাবে ইসলাম সম্পর্কে ছিল তার ব্যাপক আগ্রহ। ইসলামের প্রতি এমন অনুরাগ দেখে তার মা ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পরও ইসলাম সম্পর্কে তার কৌতুহল একটুও কমেনি। ইসলাম সম্পর্কে জানতে তিনি এক মুসলিম উস্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তার নিকটে নিয়মিত কুরআন ও হাদীছের বাণী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর থেকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন দ্বীন মুহাম্মাদ। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, তাঁর দাওয়াতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাযার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
দ্বীন মুহাম্মদ শেখ স্থানীয় আল্লাহওয়ালী জামে মসজিদের সভাপতি। তিনি অসহায় ইসলাম গ্রহণকারীদের আবাসনের জন্য প্রায় ৯ একর জায়গারও ব্যবস্থা করেছেন।
তাঁর ধর্ম প্রচারের কথা পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তার কাছে এসেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাই বাড়ির মসজিদে নও মুসলিম শিশু-কিশোর ও নারী- পুরুষের জন্য ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ছালাত ও কুরআন তেলাওয়াত শেখার ব্যবস্থা রেখেছেন তিনি।
[আমরা এই নিঃস্বার্থ দাঈকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তার এই দাওয়াতী জাযবা যেন আমৃত্যু অব্যাহত থাকে, আল্লাহর নিকট সেই প্রার্থনা করি (স.স.)।]