বিরল, দিনাজপুর ১৬-৩১শে আগষ্ট : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ দিনাজপুর-পশ্চিম যেলার বিরল উপযেলার উদ্যোগে যেলা সদর, বিরল ও বোচাগঞ্জ উপযেলার বিভিন্ন গ্রামের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ১৬ই আগষ্ট হ’তে ৩১শে আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে মোট ৮দিন এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। যেলার সদর থানার লালবাগ, ভালুয়াডাঙ্গা, কাঞ্চন কলোনী; বিরল উপযেলার কামদেবপুর, কৈকুরী, বহইল, নোনাগ্রাম, খোপড়াগ্রাম, ভাড়াডাঙ্গী, বালান্দোর, বুড়িরহাট, ধর্মপুর, কালীয়াগঞ্জ, দ্বীপনগর, হোসনা, ঝাড়পুকুর, মাড়পুকুর, বড় পুকুর, ফতেশিং, যশোরাল, বানিয়াপাড়া, মোখলেছপুর, বহলা, বেনীপুর, শাকৈর, পালাশবাড়ী, ভুতিগাঁও, দত্তপাড়া, ধোলাতৈর, কুকুরিবন এবং সেতাবগঞ্জ উপযেলার পাঁচপাড়া, তেতেড়া প্রভৃতি গ্রামে ত্রাণ হিসাবে প্রথমদিকে শুকনা খাবার এবং শেষের দিকে চাউল, ডাল, লবন, তেল ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। ‘আন্দোলন’ -এর কেন্দ্রীয় সহযোগিতা এবং স্থানীয় রূমানা অটো রাইস মিলের মালিক রকীবুল হাসান ও ইলিশ এগ্রো-এর মালিক আব্দুছ ছামাদ সহ অন্যান্য দাতাদের সহযোগিতায় মোট ১ লক্ষ ৭৯ হাযার ৫০৯ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এই ত্রাণ বিতরণ কাজে যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি তোফায্যল হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশেদুল আলম, বিরল উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ওছমান গণী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করীম, কাযীপাড়া এলাকা সভাপতি মাষ্টার আব্দুছ ছবূব, যেলা ‘যুবসংঘে’র প্রশিক্ষণ সম্পাদক আলমগীর হোসাইন, বিরল উপযেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুল লতীফ সহ ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মান্দা, নওগাঁ-পূর্ব ২৭শে আগষ্ট রবিবার : অদ্য যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র যৌথ উদ্যোগে যেলার মান্দা থানার চকরামপুর, পার শিমলা, ফতেপুর, নূরুল্লাবাদ, চককানু গ্রামের বানভাসি একশ‘ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে উক্ত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি আফযাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আফযাল হোসাইন, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুর রহমান ও যেলা ‘আল-আউন’-এর সভাপতি ডা. শাহীনুর রহমান প্রমুখ।
বন্যার্তদের মাঝে কুরবানীর গোশত বিতরণ : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন যেলার বন্যাদুর্গত পরিবারের জন্য ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে মোট ১৬টি গরু ও ৬টি খাসি কুরবানী করা হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা-পশ্চিমে ৩টি গরু, গাইবান্ধা-পূর্বে ৪টি গরু, জামালপুর-উত্তরে ২টি গরু ও ১টি খাসি, জামালপুর-দক্ষিণে ২টি গরু, লালমণিরহাটে ২টি গরু, কুড়িগ্রাম-উত্তরে ১টি ও কুড়িগ্রাম-দক্ষিণে ১টি গরু, রাজশাহীতে ১টি গরু, বগুড়ায় ৪টি খাসি এবং মেহেরপুরে ১টি খাসি। এসব কুরবানী বাবত ব্যয় হয় মোট ৯ লক্ষ ১৬ হাযার টাকা। গোশত বিতরণ করা হয় মোট ১৯৩৪টি পরিবারের মধ্যে। উল্লেখ্য যে, আসন্ন ঈদুল আযহায় বন্যাদুর্গত পরিবার সমূহের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদেরকেও ঈদের আনন্দে শরীক করার লক্ষ্যে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত জুম‘আর খুৎবায় আবেদন জানালে দেশ-বিদেশের অনেক দ্বীনি ভাই এতে সাড়া দেন। এমনকি কেউ কেউ নিজের কুরবানী না দিয়ে বন্যার্তদের জন্য তা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন।
[আমরা সকল দাতা ভাইদের জন্য মহান আল্লাহর বারগাহে খাছ দো‘আ করি, তিনি যেন সকল দাতা ভাই-বোনদেরকে এর পূর্ণ নেকী দান করেন-আমীন -সম্পাদক]