দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক বিরোধের অবসান গঠিয়ে অবশেষে ফিলিস্তীনে হামাস ও ফাতাহ গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের সরকার গঠনের সম্ভাবনা জাগ্রত হয়েছে। গাযা ও পশ্চিম তীরের দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস ও ফাতাহর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
ফাতাহ’র সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাযী হয়েছে গাযা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যের সরকার গঠন ও একটি অভিন্ন সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে ফাতাহর সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছেছে তারা। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ফাতাহ নেতা ও ফিলিস্তীনী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমূদ আববাসের প্রস্তাবিত শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছে এবং শর্তানুযায়ী গাযায় হামাসের প্রশাসনিক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তীনী কর্তৃপক্ষের মত সমান্তরাল সরকার হিসাবে গাযা উপত্যকা শাসন করে আসছিল হামাস। এর ফলে ফিলিস্তীনের রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তীনের স্বাধীনতার স্বপক্ষে জনমত গঠনে নানামুখী সমস্যা তৈরী হয়।
২০০৭ সাল থেকে হামাস ও ফাতাহ পৃথক দু’টি সরকার পরিচালনা করে আসছে। ইসরাঈলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে স্বায়ত্তশাসিত ফিলিস্তীনী কর্তৃপক্ষের সরকার পরিচালনা করে আসছিল মাহমূদ আববাসের ফাতাহ এবং গাযার নিয়ন্ত্রণ ছিল হামাসের হাতে। দু’পক্ষের মধ্যে বারবার সমঝোতার চেষ্টা দেখা গেলেও তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি হামাস মাহমূদ আববাসকে গাযায় ঐক্য সরকার পরিচালনার আহবান জানিয়ে বলেছে, ফাতাহর সঙ্গে আলোচনায় প্রস্ত্তত তারা।
হামাসের আহবানের পর ফিলিস্তীনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট নিরসনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হ’ল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গাযা উপত্যকায় প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে ক্রমেই মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। নানা সমস্যার মধ্যে বিদ্যুৎ ও পানির ভয়াবহ সংকট তৈরী হয়েছে। গাযার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক এবং এখানে বেকারত্বের হার বিশ্বের সবচেয়ে বেশী।