গত ২৮শে মার্চ বাংলাদেশে মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের (বিকিরণ) মাত্রা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আন্তর্জাতিক এ তিনটি সংস্থা হ’ল- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন নন-আয়নজিং রিডিয়েশন অন প্রটেকশন (আইসিএনআইআরপি)।

একইসঙ্গে আগামী ১০ই এপ্রিলের মধ্যে এসব সংস্থার মূল্যায়ন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মোবাইল ফোনের টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ। ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করার জন্য স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেন।

অতঃপর এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন গত ২২শে মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে পেশ করে। সেখানে বলা হয়- বাংলাদেশে কিছু কিছু মোবাইল টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সারাদেশে ৬টি টাওয়ার পরীক্ষা করে একটিতে উচ্চমাত্রার বিকিরণ পাওয়া গেছে। এ রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে বিটিআরসিকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়।


[এ বিষয়ে ‘নীরব ঘাতক মোবাইল টাওয়ার থেকে সাবধান’ শিরোনামে আমাদের সম্পাদকীয় পাঠ করুন জুন’১৪, দিকদর্শন ২/১৪৫ পৃঃ]



আরও
আরও
.