রাতের আঁধার ভেদিয়া হাঁকিছে মুওয়ায্যিন
প্রভুর তরে লুটাতে ললাট জাগো হে মুমিন!
ঘটাও তব গভীর নিদ্রার শান্তির অবসান
সিজদায় মহান রবের তরে খুলে দাও মনপ্রাণ।
অশ্রুনেত্রে প্রার্থনা করো ফেলিয়া দীর্ঘশ্বাস
বান্দার দো‘আ ফেরান না প্রভু হয়ো না নিরাশ।
স্বপ্নগুলি সঁপে দাও মহান আল্লাহর তরে
চেষ্টা করো অবিরাম রইওনাকো শুধু ঘরে।
রাত্রি প্রহর শেষে শুনেছ কি প্রভুর আহবান
কে আছ বান্দা! চাও মোর কাছে করিব প্রদান।
কপোল ভিজিয়ে কপাল ঠেকাও সেই মহিয়ানের ডাকে
তোমার দো‘আ ব্যক্ত করো দয়াময় আল্লাহর কাছে।
জীবনভর করছো ভোগ রবের দেয়া নে‘মত
দিন শেষে কেন তবু করছো পীরের খেদমত?
অজস্র টাকা ঢালছো তুমি খানকা-মাযারে
একরতিও কি করেছ দান মহান আল্লাহর ঘরে?
দানের মালিক নয়তো সেই পীর-ফকীরের দল
দূর করে দাও সেই পাপের যত ক্লেদ-আবিল।
গোনাহের প্রায়শ্চিত্তে প্রভুর তরে লুটাও মাথা আজি
ছেড়ে দাও পীর-মাযার-কবরপূজার কারসাজি।
হাযার ভুলের পরে প্রভুর সকাশে কর ফরিয়াদ
নতমস্তক বান্দাকে ক্ষমা করো দিও নাজাত।
দেওয়ার মালিক তুমিই প্রভু অন্য কেউ নয়
পীর-মাযারে দো‘আর সারশূন্য হবে নিশ্চয়।
হে রব! খুলুছিয়াত ঢেলে দাও মোদের প্রাণে
আজীবন দেব সাড়া তোমার আহবানে।
-মুহাম্মাদ মুবাশশিরুল ইসলাম
নওদাপাড়া, রাজশাহী।