আল্লাহ মেহেরবান
আব্দুর রশীদ
ছাতিহাটী, টাংগাইল।
সব সৃষ্টির স্রষ্টা তুমি ওগো সর্ব শক্তিমান!
তব দয়ায় বিশ্ব সভায় আমরা মুসলমান।
চন্দ্র-সূর্য গ্রহ-তারা চলছে দিবা-রাতি
তোমার দেয়া বিশ্ব জোড়া আধার ঘরে বাতি।
হায়াত-মওতের মালিক তুমি আল্লাহ রহমান
কেউবা ফকীর কেউবা বাদশাহ সবই তোমার দান।
কাল ক্বিয়ামতে ডান হাতে আমলনামা দিও
জান্নাতুল ফেরদাউসে মোরে জায়গা করে দিও।
বিশ্বজোড়া তুলবো মোরা তব নামের জয়ধ্বনি
তাগূত পালিয়ে যাবে থাকবে না শয়তানী।
তব দয়ায় কাটছে মোদের সবার দিন-রাত
তোমার সকাশে করছি দো‘আ দিও মোরে নাজাত।
শেষ বিচারে তব ছায়া ও হাউজ কাউছারের পানি
লভিতে চাই আল্লাহ তব মেহেরবাণী।
তোমার পথেই থাকবো মোরা এই করেছি পণ
দ্বীনের পথেই রেখো মোদের সারাটি জীবন।
দ্বীনের পথে শ্রম দিতে মোদের শক্তি কর দান
সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিব তোমারই ফরমান।
কোন কালে
মুহাম্মাদ লাবীবুর রহমান
হয়বৎপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।
হে স্বাধীনতা! তোমায় পাওয়ার তরে জাগ্রত জনতা
প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অস্ত্র ধরল করে
যুদ্ধ করল, রক্ত ঢালল এ বাংলার যমীন পরে!
অসংখ্য মানুষ হারাল প্রাণ তোমায় পাওয়ার তরে,
খোয়াতে হ’ল মান-সম্ভ্রম শত শত নারীরে!
তোমায় পাওয়ার তরে মাতার চিত্ত হ’ল বেদনা-বিধুর,
দিবা-রাত্রী তাইতো অাঁখি ঝরাল অশ্রু অধির!
পুত্রশোকে পিতার বুকে বিঁধিল যাতন তীর,
ভ্রাতৃশোকে করুণ রোদন করিল বিষাদিত মন ভগ্নীর!
তোমায় পাওয়ার তরে কত না পত্নী হারালো স্বীয় পতি,
সুখের সংসার হ’ল শোকের চর নিভিল সুখের জ্যোতি!
এত বিয়োগের পরে বাংলার ঘরে করলে তুমি আগমন,
তবু কেন হায় নাহি পারে তোমায় করতে সবে অর্জন?
আজও ভ্রাতার রক্ত করে সিক্ত এ বাংলার অঙ্গন,
আজও ভগ্নীর মান-সম্ভ্রম হয়ে যায় লুণ্ঠন!
পুত্র শোকে পিতার বুকে আজও বিঁধে যাতন তীর,
বেদনা-কানন হয় আজও মন সন্তানহারা জননীর!
বিগত যুগের ন্যায় আজও কতজনায় হয় নিপীড়িত,
কেন ওরা হায় পায় না তোমায়, কেন হয় বঞ্চিত?
হে স্বাধীনতা! সকলের তরে পার না করতে তব শির উন্নত,
তব দুশমন দলের চরণ তলে হয়েছ তুমি পতিত।
হে স্বাধীনতা! উন্নত শিরে পারবে কি কভু দাঁড়াতে?
পারবে কি কোন কালে তোমারে সকলে অর্জন করতে?
কবর পূজা
মুহাম্মাদ আবু তালেব
বানেশ্বর ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী।
কি হবে তোমার কবর পূজা শ্রদ্ধাঞ্জলি ডালা ভরা ফুল?
থাকতে জীবন করো যদি ভুলের পরে ভুল।
ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে ওরা যাচ্ছে দলে দলে,
বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ লোকে যাদের বলে।
শ্রদ্ধার নামে কত বড় ভুল করছে কানার দল?
চোখওয়ালারা থাকতে সময় জলদি ওদের বল।
বুদ্ধিজীবীর বুদ্ধির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই
মোর নবীজীর কবরমাঝে কেন ফুলের ডালা নাই?
আবুবকর, ওমর, ওছমান, আলী কেউ দিল না ফুল
এসব দেখেও কেনরে অধম করিস আজও ভুল?
কত ছাহাবী ঘুমিয়ে আছেন ঐ না মরুর দেশে
শ্রদ্ধার নামে ফুলের তোড়া কেউ দিল না এসে।
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হজ্জ করিল যারা
একটি টাকার ফুল কিনিতে পারিত না কি তারা?
জুটল না ফুল মোর নবীজীর রওযায়, জুটল না কোন ছাহাবীর
দিচ্ছ ফুল ভুরি ভুরি এরা কত বড় পীর?
মুহাম্মাদী দল
আব্দুল্লাহ আস-সামী
কুঠিবাড়ী, কমলাপুর, ফরিদপুর।
হকের পথের দিশা দিতে এসেছিলেন মুহাম্মাদ
আমরা সবে তাঁর অনুসারী তাঁরই উম্মত।
তিনি এসে ধরা থেকে সরালেন
শিরক-কুফরের জঞ্জাল,
আজ আবার বিস্তৃত হ’ল বিধর্মীদের কুচক্রজাল।
চার মাযহাব ফরয করে মেনে চলে একটা
পীর-ফকীরের বাড়াবাড়িতে কলুষিত দেশটা।
ভন্ডপীর আর মাযহাবী কোন্দলে
দেশে কত গন্ডগোল
পায় না খুঁজে সাধারণ মানুষ
কোনটা সঠিক দল।
আমরা যারা আহলেহাদীছ কুরআন-হাদীছ মানি,
সে কারণেই মোদের পথে শত বাধা গ্লানি।
আমরা যদি একজোট হয়ে
বাতিলকে রুখে দাঁড়াই,
সাধ্য কি কোন বিরোধীদের মোদের তারা ঠেকায়?
ইনশাআল্লাহ ভাঙব মোরা শিরক-বিদ‘আতের ছল,
হবেই জয়ী এই ধরাতে মুহাম্মাদী দল।