শবেবরাত শবেবরাত রব উঠেছে গাঁয়,

ঈদের মত সাজ সাজ সবে খুশির অন্ত নাই!

আজকে নাকি আল্লাহ তা‘আলা দিবেন রূযী ঢেলে,

এই রূযীতে বান্দারা সব সারা বছর চলে!

তাই তো দেখি যোগাড় করে যত ভালো খাবার,

ফাতিহা পড়ে পকেট পুরে কীর্তি দেখ বাবার!

হালুয়া করে কত রকম সঙ্গে বানায় রুটি,

আগর বাতি মোম বাতি রাখে না কোন ত্রুটি।

দাঁত ভাঙ্গাতে নবী নাকি হালুয়া রুটি খান,

প্রশ্ন করি কোথায় ভাই মিথ্যা দলীল পান?

শাওয়াল মাসে ভাঙ্গলো দাঁত ওহোদ পাদদেশে

হালুয়া রুটি শা‘বান মাসে কেমন করে আসে?

শাবান মাসে ছাওম রাখা ছহীহ হাদীছে পাই,

মধ্য শা‘বানে ছাওম রাখা যঈফ জানো ভাই।

নবী বলেন প্রত্যেক রাতে মধ্য রাতের পরে,

আল্লাহ তা‘আলা শেষ আকাশে ডাকেন বান্দারে।

মধ্য শা‘বানে কুরআন নাকি নাযিল হয়েছিল,

কুরআন নিজে তা বলে না ওরা কোথায় পেল?

বাক্বারাহ সূরা কদর সূরা পড়েনি বুঝি ওরা,

তাইতো সূরা দুখান পড়ে এমন মনে করা!

এই রাতেই আত্মারা সব নেমে আসে এখানে,

আত্মীয় যত আছে ওদের দেখা করে সেখানে!

এমন কথা উড়েই যাবে মুমিনূন সূরা পড়,

ঈমানদারী বজায় রাখো ভুল আমল ছাড়ো।

রিযিক লেখা এই রাতেই! এই ধরাণা ভুল

ক্বামার সূরা পড়তে হবে তবেই পাবে কুল।

***







আরও
আরও
.