সঊদী আরবকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় সঊদী সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসন মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনা প্রবাহে পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষা করতে সঊদী সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কাতার সঊদী আরবের চেয়ে অনেক বেশী দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। ফলে মার্কিন প্রশাসন এখন রিয়াদের চেয়ে দোহাকেই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। ‘আন-নাখীল’ পত্রিকার এই খবরে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন সঊদী আরবকে বিভক্ত করার নীলনকশা তৈরী করেছে। পাশ্চাত্যের এই নীলনকশা অনুযায়ী বর্তমান বাদশাহ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর সঊদী আরবের ক্ষমতাসীন রাজপরিবার ক্ষমতা হারাতে পারে। এরই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাঈলের সঙ্গে কাতারের আমীর শেখ হামাদ বিন খলীফা আলে ছানির অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাকে রিয়াদ ভাল চোখে দেখছে না।
[‘বিভক্ত কর ও শাসন কর’ চিরাচরিত এই পাশ্বাত্য রীতির আধুনিক রাজনৈতিক সংজ্ঞার নাম হ’ল নির্বাচনী গণতন্ত্র। এই অস্ত্র ঠিকমত প্রয়োগ করতে পারলেই সঊদী আরবের ঐক্য ভেঙ্গে দেওয়া যাবে। মুসলিম দেশগুলি ইহুদী-নাছারাদের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের ইসলামী আদর্শের উপর দৃঢ় থাকতে পারলে তাদের ঐক্য ও শক্তি দু’টিই অটুট থাকবে ইনশআল্লাহ (স.স.)]
বিশ্বে সবচেয়ে ধনী দেশ কাতার
আমেরিকার বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’ পরিচালিত জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের মর্যাদা লাভ করেছে কাতার। বিশ্বের ১৮২টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে এ তালিকা প্রস্ত্তত করা হয়েছে। তৈল ভান্ডার আর প্রাকৃতিক গ্যাসের বদেŠলতেই কাতারের ভাগ্যে এ সম্মান জুটল। দেশের লোকের ক্রয়ক্ষমতা, জিডিপি, মাথাপিছু আয় এসব বিষয়ের উপর চুলচেরা বিশ্লেষণের আলোকে এ তালিকা তৈরী করেছে ফোর্বস। উল্লেখ্য, কাতারের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ।
আফগানিস্তানে কুরআন মাজীদ পুড়িয়েছে মার্কিন সেনারা
গত ২০ ফেব্রুয়ারী আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সেনারা পবিত্র কুরআন পুড়িয়েছে। ঘাঁটিতে কর্মরত শ্রমিকরা কুরআন পোড়ানোর ঘটনা দেখেছেন। এ নিয়ে সারা বিশ্বে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে আফগানিস্তানে কুরআন পোড়ানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দায়ী করে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযোগ করা হয়েছে। মিসরের আইনজীবি হোসেন আলী আস-সাইয়িদ ঐ অভিযোগ করেছেন।
[ধন্যবাদ মিসরীয় আইনজীবীকে (স.স.)]
পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। পাকিস্তানের সরকারী সূত্র গত ৫ মার্চ এ খবর জানায়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম ১৮০ কিলোমিটার পাল্লার হাতফ-২ ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রচলিত অস্ত্র বহন করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি দেশ যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পরমাণু অস্ত্র ক্ষমতাধর হওয়ার পর থেকে প্রায় নিয়মিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে আসছে। দেশটির স্বল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।