বর্তমানে দেশে প্রাণীজ আমিষের চাহিদার একটা বড় অংশই পূরণ করে ব্রয়লার মুরগী। কিন্তু মুরগী সুস্থ রাখা ও ওযন বাড়ানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এই অ্যান্টিবায়োটিক মানবদেহে পৌঁছে যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমাদের শরীরে তৈরী হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (প্রতিরোধী)। এভাবে চলতে থাকলে একসময় অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হবে। স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে ধীরে ধীরে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কাজ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক শফীকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী গবেষক আবু রায়হান। অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসাবে নিমপাতার নির্যাস প্রয়োগ করে নিরাপদ ও দ্রুত বর্ধনশীল ব্রয়লার উৎপাদনে সফল হয়েছেন তাঁরা।
গবেষক অধ্যাপক শফীকুল ইসলাম বলেন, বাজারে যেসব ব্রয়লার মুরগী পাওয়া যায়, সেগুলোর কোন কোনটির গোশতে বিশেষত কলিজায় অ্যান্টিবায়োটিকের হার আশঙ্কাজনক। অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের দুই সপ্তাহ পর মুরগি বিক্রি করলে সাধারণত মুরগির দেহে ক্ষতিকর মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক থাকে না। কিন্তু অনেক খামারি অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের দিনেও মুরগি বিক্রির জন্য বাজারে তোলেন। এ কারণে এসব অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের দেহেও পৌঁছে যায়।
সহযোগী গবেষক আবু রায়হান বলেন, নিম পাতার নির্যাসটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হ’লে বাজারে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে যা খরচ হয়, তার চেয়ে কম খরচে মুরগী উৎপাদন করা যাবে।