পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় কোয়েটা শহর পরিবেষ্টনকারী ধূসর পাহাড়ের অনেক গভীরে এক অভাবনীয় সম্পদ রয়েছে। পাহাড়ের গভীরে সুড়ঙ্গে পবিত্র কুরআনের বাক্সগুলো মৌচাকের মতো থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অপবিত্রতা থেকে নিরাপদে এসব সুড়ঙ্গে পবিত্র কুরআন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পাহাড়টি ‘জাবাল-ই-নূর’ বা ‘জ্যোতির পাহাড়’ হিসাবে পরিচিত। দুই ভাই মিলে পাহাড়ের সুড়ঙ্গকে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের জন্য একটি পবিত্র আধার হিসাবে পরিণত করার পর থেকে এ পর্যন্ত লাখ লাখ লোক এই সুড়ঙ্গ পরিদর্শন করেছে। এখানে কুরআনের বেশ কয়েকটি কপি রয়েছে যেগুলো ছয়শ’ বছরের বেশী পুরনো। জাবাল-ই-নূরের প্রশাসক মুযাফফর আলী বলেন, এখানে পুরনো কুরআন ভর্তি অন্তত ৫০ লাখ বস্তা রয়েছে। স্থানাভাবের কারণে সুড়ঙ্গের বাইরেও শত শত বস্তায় ভরা কুরআনের কপি পাহাড়ের গায়ে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এর ভিতরে প্রবেশে দর্শণার্থীদের কোন ফী দিতে হয় না। তবে তারা সেখানে দান করতে পারেন। সংরক্ষণাগারের প্রতিষ্ঠাতা ৭৭ বছর বয়সী বিত্তশালী ব্যবসায়ী আব্দুছ ছামাদ লেহরী বলেন, পাহাড়ে আমরা আরো সুড়ঙ্গ খনন করতে চাই। কিন্তু আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কুরআনের বাণীগুলো সংরক্ষণে লেহরীর এ আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। তিনি বলেন, কা‘বা শরীফের এক বিরাট ছবি ছাপানো একটি সংবাদপত্র তার এক বন্ধুর গাড়ির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে তিনি তা যত্নের সঙ্গে তুলে নেন এবং তখনই পবিত্র কুরআনের বাণী ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য তার মিশন শুরু করার শপথ নেন।