আলহামদুলিল্লাহ! অন্তর হ’তে বলি আমি
মোদের কতই না সুখে রেখেছেন অন্তর্যামী।
জীবন মোদের শত-সহস্র নে‘মতে ভরা
তৃপ্তিসহ করছি ভোগ রবের এই ধরা।
গৃহহীন ছিন্ন বস্ত্রে কত শিশু পথপাশে
রাত-দিন হায়! ডাকে না কেউ ওদের ভালোবেসে।
করছি আহার তিনবেলা মোরা উদর পূর্তি করে
ওরা সংগ্রাম করছে দু’মুঠো খাদ্যের তরে।
দামী পোষাক পরে ঘুরছি মোরা
সস্তা ছেঁড়া বস্ত্র গায়ে দাঁড়িয়ে পথে ওরা।
মোরা বিলাসবহুল কক্ষে আছি অর্থ আছে বলে
রোদ-বৃষ্টিতে ওদের নিবাস খোলা আকাশতলে।
অজস্র সম্পদ করছি ব্যয় অযথা মোরা সবে
অথচ রোগে-শোকে কাতরায় ওরা পথ্যাভাবে।
থাকছি সুখে ওদের শ্রমে গড়া এই আবাসে
পথের ধারে থাকছে তারা প্রবল বিপদ-ত্রাসে।
শিক্ষার আলোয় উজ্জ্বল যখন কোটি শিশুপ্রাণ
ঐ শিশুরা খুঁজছে তখন দিচ্ছে কোথায় ত্রাণ।
অভাবী, দুঃখী, ক্ষুধার্ত, অবহেলিত ওদের জীবন
অমনিভাবে হচ্ছে সহসা ইহলীলা সংবরণ।
ওরা মোদের ভাই! একই রক্তের মানুষ
শোন হে বিত্তবান! ফেরাও তোমার হুঁশ।
জেনে নাও ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
কিছু অর্থ দান কর ঘুচাও ওদের দুখ।
হে রহীম রহমান! হাত তুলেছি রাত্রি শেষে
পথশিশুদের মুখে ফুটুক হাসি দেশে দেশে\
মুবাশ্বিরুল ইসলাম
নওদাপাড়া, সপুরা, রাজশাহী।