অস্ট্রেলিয়ার একটি মসজিদে চলছিল ঈদের জামা‘আতের আয়োজন। মসজিদভর্তি মুছল্লী। সবাই পবিত্র ঈদুল ফিৎরের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। কেউ স্বজনদের সাথে কোলাকুলি করছেন, কেউ গল্প করছেন। এমন সময় ঘটে গেল ভিন্ন এক ঘটনা।

ঈদের দিনে এমন শোরগোলে বিরক্ত হয়ে অভিযোগ দিতে মসজিদেই হাযির হন ব্রেইন নামের এক অস্ট্রেলিয়ান বৃদ্ধ। খুব বিরক্ত হয়ে যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন প্রত্যক্ষ করলেন এক অন্যরকম দৃশ্য। কিছু সময় দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখলেন আর নিজের মনের কাছে প্রশ্ন রাখলেন- এমন মিলনমেলা তো কত বছর যাবৎ দেখেননি। তার বয়সের মানুষগুলোর প্রতি মমতা দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হ’লেন। প্রশান্তিতে ভরে উঠলো তার অন্তর। সবচেয়ে বেশী মুগ্ধ হ’লেন ছালাতের দৃশ্য দেখে। একসঙ্গে এত মানুষ এক কাতারে কিভাবে শামিল হ’লেন! সেই প্রশ্নেই তিনি ইসলাম গ্রহণে আকৃষ্ট হ’লেন বেশী।

এর কারণ জানতে মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসলেন। ঘুরে ঘুরে উপস্থিত সবার সাথে কথা বললেন। এর মধ্যে কয়েকজন তাকে ‘পিতা’ বলেও সম্বোধন করলেন। মিষ্টি মুখ করানো হ’ল তাকে। সবমিলিয়ে তাদের আচরণে এতটাই মুগ্ধ হ’লেন যে, আনন্দে কেঁদে ফেললেন তিনি। বললেন, ‘কতদিন পর এতো মানুষের সঙ্গে একত্রিত হ’তে পেরেছি। একা একা বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে থাকতে মনে হ’ত মরে গেলেই তো ভালো হ’ত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরও কিছুদিন বাঁচা উচিত।

হঠাৎ করে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে পড়ে নিলেন কালেমায়ে শাহাদত ‘আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তার সঙ্গে সঙ্গে সবাই পড়লেন সেই মহান বাণী।

গত ২২শে এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের উপকূলীয় গোল্ড কোস্ট শহরে এই অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়।

[সৃষ্টিসেরা মানুষ স্বভাবগতভাবেই আল্লাহর প্রতি অনুগত। ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্বের অধীনে সকল মানুষের অধিকার সমান’ এই মানবীয় দর্শন কেবল ইসলামেই রয়েছে। ঈদায়েনের ছালাতে তার বাস্তব নিদর্শন দেখা যায়। স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন এবং বৃদ্ধাশ্রমে থাকা উক্ত অমুসলিম বৃদ্ধ ইসলামের এই মানবীয় দৃষ্টান্ত দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং আল্লাহ তাকে তাওহীদের পথ প্রদর্শন করেছেন, এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি (স. স.)]







আরও
আরও
.