এবার মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদন!
মঙ্গল গ্রহে মানুষের জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ তৈরী করার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। তারা ‘লাল গ্রহটি’র বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরীর পরিকল্পনা করেছে। এতে সহায়তার জন্য সেখানে পাঠানো হবে মার্স ২০২০ নামের একটি রোবটযান। নাসা জানায়, সাতটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প নিয়ে মার্স ২০২০ মঙ্গলে অবতরণ করবে ২০২১ সালে। ফলে ভবিষ্যতে গ্রহটিতে মানুষবাহী নভোযানের অবতরণ, প্রাণের চিহ্ন অনুসন্ধান ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ প্রভৃতি কাজে বড় ধরনের সাফল্যের আশা করা হচ্ছে। এক টন ওযন ধারণক্ষমতার যানটি তৈরীতে ব্যয় হবে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। মঙ্গলে উৎপাদিত অক্সিজেন দিয়ে রকেটের জ্বালানী তৈরী করা যাবে। আর তাহ’লে মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে যাতায়াতও সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া একদিন হয়তো এ অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাসও নিতে পারবেন ভবিষ্যতের নভোচারীরা। উল্লেখ্য, চাঁদে সফল অভিযানের পর মানুষের নতুন লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মঙ্গল গ্রহ।
বাগানের সান্নিধ্যে স্মৃতিক্ষয় রোধ
বয়স বাড়লে মানুষের স্মৃতিক্ষয় বা ভুলে যাওয়ার রোগ দেখা দেয়। তাঁদের স্মরণশক্তি ধরে রাখতে বাগানের সান্নিধ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক বলছেন, বাগানের সবুজ উদ্ভিদ, খোলা জায়গা ও ঘাস স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধদের মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং অস্থিরতা কমাতে সহায়তা করে। ওষুধ ছাড়াই মানসিক বৈকল্যের উপসর্গ দূর করতে বাগান অত্যন্ত কার্যকর। ভুলে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক সংবেদনশীলতা এবং উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে তাঁদের স্মৃতিধারণে বাগান উপকারী ভূমিকা পালন করে।
মানুষ পাচ্ছে চারটি হাত
মানুষের দেহে বাড়তি দু’টি যান্ত্রিক হাত লাগানোর প্রযুক্তি বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। যান্ত্রিক এ হাত কাঁধ বা কোমরে লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এতে মানুষের বাড়তি ভারবহনসহ অন্যান্য অনেক কাজে অকল্পনীয় সুবিধা হবে। যান্ত্রিক এ হাতটি বানিয়েছেন আমেরিকার এমআইটি’র আরবেলঅফ গবেষণাগারের দুই গবেষক।
যে কোন মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষামূলক ভাবে নির্মিত হাতটির ব্যাটারি এক নাগাড়ে তিন ঘণ্টা চলে এবং এটি প্রায় ৩২ কিলোগ্রাম ওযন অনায়াসে তুলে ধরতে পারবে। মানব দেহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তি হাত হিসাবে কাজ করার উপযোগী করবে যান্ত্রিক হাত। মূলত মানব দেহের নড়াচড়া দেখে কাজ করতে শিখবে এ হাত।