বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেছেন এস এম মনসুর আলী (৭৫) নামে এক প্রকৌশলী। তবে তার জানাযায় অংশ নেয়নি সন্তানেরা। মৃত্যুর খবর জেনেও বৃদ্ধাশ্রমের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি ছেলে-মেয়ে কিংবা কোন স্বজন। এমনই ঘটনা ঘটেছে বরিশালে। এস এম মনসুর আলী টিএন্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি গত ৩০শে অক্টোবর রংপুর নগরীর বকসা এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। পরে কোন আত্মীয়-স্বজন না পেয়ে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অতঃপর গ্রামবাসী জানাযা করে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করেন। এ সময়ও মৃতের কোন সন্তান ও স্বজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ করেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রণি শিকদার বলেন, যতদূর জেনেছি তাকে সাত বছর আগেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মূলত ছেলে-মেয়েরা মিরপুরের কোটি কোটি টাকা মূল্যের বহুতল ভবন নিজেদের দখলে নিতে পিতাকে মৃত দেখিয়ে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও জায়গা হয়নি তার। অবশেষে গত ৬ মাস পূর্বে রংপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই মারা যান।

তিনি বলেন, তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার পরে আমরা তার সন্তানদের মোবাইল নম্বরে অনেক বার কল করেছি। তার বড় ছেলে মহিন সরদার সরকারী ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা। আরেক ছেলে কাতার প্রবাসী। আর দুই মেয়েরও বিয়ে হয়েছে বড় ঘরে। তিনি বলেন, এইসব সন্তান ও সম্পদ দিয়ে লাভ কী? যা শেষ বয়সে কোন উপকারে আসে না। এমন ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জার।

[দ্বীনী ইলম না শেখার মন্দ পরিণতি এসব। এই ঘটনা থেকে বস্ত্তবাদীরা শিক্ষা নিন (স.স.)]

 






আরও
আরও
.