তুরস্কের ইস্তান্বুল মেদেনিয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১০ সালে এটির কার্যক্রম শুরু হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে এর চোখধাঁধানো বিশাল গ্রন্থাগারটির কারণে। ৩ হাযার আসন বিশিষ্ট এই লাইব্রেরীটিকে ১০ লাখ বই দ্বারা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ৭ তলা বিশিষ্ট ২৮ হাযার স্কয়ার ফিটের দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগারের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় মোহিত সকলে।
গ্রন্থাগারে রয়েছে লকারের সুবিধা। আছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। রয়েছে মসজিদ ও কনফারেন্স হল। একা ও একসাথে কয়েকজনের পড়ার উপযোগী টেবিলের পাশাপাশি গ্রুপ স্টাডি ও অধ্যয়নকক্ষের সুবিধাও রয়েছে। রয়েছে পড়ার ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ। মানসিক দক্ষতা বাড়ানো যায় এমন পরিসরও থাকছে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এই গ্রন্থাগার নির্মাণে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা বলেছেন, অস্ত্রে জয় করা দেশকে কলম দিয়ে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, যে জাতি বই ও গ্রন্থাগারের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করে, তাদের টিকে থাকা অসম্ভব। জাতি হিসাবে আমরা যদি সভ্যতার প্রতি কোন অবদান রাখতে চাই, আমাদের সভ্যতাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি যদি ভালোবাসা থাকে, গ্রন্থাগার ছাড়া আমরা তা করতে পারব না।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে ৫৭ হাযারের বেশী বিদ্যালয়কে আমরা দেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারের আওতায় নিয়ে এসেছি। বই সংখ্যা তিন গুণ বাড়িয়ে সাত কোটিতে উন্নীত করেছি। এ বছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ১০ কোটিতে নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।