সিরিয়ায় তীব্র হচ্ছে আল-কায়েদা ও মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের লড়াই
সিরিয়ার উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে দেশটির মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত কট্টরপন্থী বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে। আড়াই বছরের গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী এ দু’টি পক্ষের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সলীম ইদ্রীসের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী ফ্রী সিরিয়ান আর্মির সঙ্গে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত কট্টরপন্থী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক ও দ্য লেভান্ত-এর তীব্র লড়াইয়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের মধ্যে প্রচন্ড গোলাগুলি চলছে। যে লড়াই চলছে, তা আমাদের দেখা সবচেয়ে কঠিন লড়াই। মূলতঃ তারা সরকারের ভূমিকা পালনের কর্তৃত্ব লাভের জন্য এ লড়াই চালাচ্ছে। আড়াই বছর ধরে সুন্নী বিদ্রোহীদের এই গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার শী‘আ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের লক্ষ্যে লড়াই করে আসছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি। বিদ্রোহের শুরু থেকেই চরমপন্থী ও উদারপন্থী বিদ্রোহীদের মাঝে প্রায়ই দ্বন্দ্ব তৈরী হচ্ছিল। সম্প্রতি তা তীব্র আকার ধারণ করে। বিদ্রোহীদের নিজেদের মধ্যে এই লড়াই আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আসাদবিরোধী লড়াইয়ে গত আড়াই বছরে সিরিয়ায় এক লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
[আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়ে চায় ইস্রাঈলকে বাঁচানোর জন্য সিরিয়াকে করতলগত করতে। তাই উভয়ের সম্মতিতে সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে শুরু করেছে। কিন্তু ইসরাঈলের আনবিক বোমা ও রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের ব্যাপারে সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। অন্যদিকে সিরিয়াতে শী‘আ-সুন্নী বিভেদকে উসকে দিয়ে রাষ্ট্র হিসাবে দেশটিকে অকার্যকর করে ফেলেছে। এদের এই শয়তানী তৎপরতা প্রায় সকল দেশেই চলছে। অতএব জাতি সাবধান হও! (স.স.)]
তিউনিসিয়ায় ক্ষমতা ছাড়ল ইসলামপন্থীরা
তিউনিসিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ইসলামপন্থীরা। গত ৫ অক্টোবর এ বিষয়ে ইসলামপন্থী ও বিরোধী সেক্যুলার রাজনৈতিক জোট একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই একটি নতুন সরকার গঠনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে গত দু’মাস ধরে চলা দেশটির ভয়াবহ রাজনৈতিক অচলাবস্থারও অবসান ঘটল। উল্লেখ্য যে, দু’বছর আগে এক গণজাগরণে সাবেক স্বৈরশাসক বেন আলীর পতন এবং পরে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে ইসলামপন্থী আন্নাহাদা পার্টিসরকার গঠন করে। তিউনিসিয়ার ওই গণজাগরণই বহুল আলোচিত আরব বসন্তের সূচনা করেছিল। [সেক্যুলারদের দেখানো পথে ইসলাম প্রতিষ্ঠা যে সম্ভব নয়, মিসর ও তিউনিসিয়ায় ইসলামী সরকারগুলির পতন তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। অতএব ইসলামী নেতারা ইসলামের পথে ফিরে এসো (স.স.)]
আশ-শাবাবের পিছনে আমেরিকা!
কেনিয়ার ওয়েস্টগেট শপিংমলে হামলা চালানো সোমালিয়া ভিত্তিক চরমপন্থী সংগঠন আশ-শাবাব যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাখ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা পায়। এছাড়া গত কয়েক বছরে ৪০ জনের বেশী আমেরিকান শাবাবের পক্ষে যুদ্ধ করতে সোমালিয়া গেছে। কিন্তু এদের প্রতি সরকারের কোন লক্ষ্য নেই। পিটার বার্জেন এবং ডেভিড স্টারম্যান নামে যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনে লেখা এক কলামে এ কথা জানিয়েছেন।
[জঙ্গীবাদের ধুঁয়া তুলে মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে করতলগত করার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য দেশগুলি এইসব চরমপন্থী সংগঠনগুলো ব্যবহার করছে। অতএব হে চরমপন্থী! সাবধান হও! অন্যের ক্রীড়নক হয়ে মুসলিম ভাইদের প্রাণ সংহারে লিপ্ত হয়ো না (স.স.)]