ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের দশম তলায় অবস্থিত ২০২০ সালে স্থাপিত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাইপার অ্যাকিউট স্ট্রোক কেয়ার সেন্টার। পরিণত হয়েছে সবধরনের স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভরসাস্থলে। তাই রোগীর চাপ সবসময় লেগেই আছে সেখানে। সরকারী এই হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ।
প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম বলেন, স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসার জন্য সারা বিশ্বে যত পদ্ধতি বর্তমান, সবগুলোই আমাদের এখানে রয়েছে। রোগীদের যরূরী চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমরা জোগাড় করেছি এবং ব্যবহার করছি। পাশাপাশি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-নার্স ও সহযোগী জনবল আমরা নিয়োগ করেছি। স্ট্রোকের রোগীদের চিকিৎসার এত বড় কেন্দ্র সরকারী বা বেসরকারীভাবে দেশের আর কোথাও নেই।
তিনি বলেন, এখানে অস্ত্রোপচার বা শয্যায় কোন খরচ নেই। থাকা-খাওয়া ও ওষুধপত্র বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বড় অপারেশন তথা মাথার খুলি কেটে অপারেশন করলে সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাযার টাকার মতো খরচ হয়।
প্রতিষ্ঠানের দশম তলায় রোগীর আত্মীয়দের ওয়ার্ডে ঢোকার ব্যাপারে কড়াকড়ি ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট সময়ে একজন আত্মীয় রোগীর কাছে কিছু সময়ের জন্য যেতে পারেন। রোগীর কাছে কোন আত্মীয় থাকার দরকার হয় না। রোগীর খাওয়া-দাওয়া, পেশাব-পায়খানা করানো, পাশ ফেরানোসহ সব ধরনের সহায়তা করেন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী।
১০০ শয্যার এ স্ট্রোক সেন্টারে কাজ করেন ২০ জন স্ট্রোক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৮০ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স এবং আয়াসহ সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী ৮০ জন। তাদের ওপরে আছেন ৭জন অধ্যাপক। দুই ওয়ার্ডেই ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা আছে।
চিকিৎসকেরা বলেছেন, স্ট্রোক হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনা সম্ভব হ’লে অধিকাংশ রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব। চিকিৎসা নিতে যত বিলম্ব হয়, পুরোপুরি সুস্থতার সম্ভাবনা তত কমে যায়।