মহান আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, তার কোনটাই ফেলনা নয়। সবজি হিসাবে মিষ্টি কুমড়া জনপ্রিয়। মিষ্টি কুমড়া যেমন উপকারী তার শাক, বীজ, ফুল কোনটির উপকারিতাই কম নয়। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন মিষ্টি কুমড়া শাক খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন। মিষ্টি কুমড়া শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, চোখের সমস্যা ভাল হয়।

কুমড়া শাকের উপকারিতা :

১. আয়রনের ঘাটতি পূরণে : মিষ্ট কিুমড়া পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। মিষ্টি কুমড়া শাক খেলে দেহে রক্তের অভাব হ’তে পারে না। নারী ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশী দেখা যায়।

২. ক্ষত সারাতে : মিষ্টি কুমড়া শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। তাই এটি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। ফলে যে কোন আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করতে কুমড়া শাক খাওয়া উপকারী।

৩. ত্বকের উজ্জ্বলতায় : মিষ্টি কুমড়া পাতা দেখতেও সুন্দর, উজ্জ্বল। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। মিষ্টি কুমড়া শাক ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। সেই সঙ্গে চুলও ভাল রাখে।

৪. হার্ট ভাল রাখতে : কুমড়া শাকে প্রচুর খাদ্য আঁশ আছে। যা উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল শোষণ কমায়। পিত্ত, এ্যাসিডের শোষণও হ্রাস করে। ফলে রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা হ্রাস পায়। কোলেস্টেরল কমিয়ে খাদ্য আঁশগুলি হার্টকে শক্তিশালী করে।

৫. দাঁত ও হাড় মযবূত : কুমড়া শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা দাঁত ও হাড়কে মযবূত করতে সহায়তা করে।

৬. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে : দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কুমড়া শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন। এছাড়া চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে মিষ্টি কুমড়া শাক ভূমিকা রাখে।

৭. মায়েদের সুস্থতায় : মায়েদের শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে বলে যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের জন্যও কুমড়া শাক খুব উপকারী।

৮. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে : প্রোটিন-সমৃদ্ধ কুমড়া শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে : কুমড়া শাকে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফাইবার ইত্যাদি রয়েছে। যা আপনার শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিকাল এবং টক্সিন থেকে সুরক্ষা দেয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের চামড়া নরম কোমল হয়।

১০. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে : কুমড়া শাকে থাকা প্রচুর খাদ্য আঁশ হজমে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

১১. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় : কুমড়া পাতায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। যা হার্টের অনিয়মিত বিট রোধ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

১২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : কুমড়া শাক নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রোগীর উপকার হয়।                       \ সংকলিত \






আরও
আরও
.