মে মাসের প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ। লাগাতার প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্টি হয় এই বন্যা। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে যায় হাস-মুরগী, গবাদীপশু ও পুকুরের মাছ। তলিয়ে যায় ফসলের মাঠ। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে বিগত শত বছরেও অত্রাঞ্চলের মানুষ এরকম বন্যা দেখেনি। একইভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও নেত্রকোনায়ও ভয়াবহ বন্যা আঘাত হানে। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ প্রতিবারের ন্যায় এবারও সাধ্যমত বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েক দফায় ত্রাণ ও সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছে। ত্রাণের পাশাপাশি দিয়েছে সান্ত্বনা, উপদেশ দিয়েছে ছবরের এবং আহবান জানিয়েছে শিরক ও বিদ‘আত মুক্ত এবং তাক্বওয়াপূর্ণ সুন্নাতী জীবন-যাপনের। বিস্তারিত  নিম্নরূপ-

১. সিলেট ও সুনামগঞ্জ

চলতি বছর মে মাসের শেষের দিকে সিলেটে বন্যা দেখা দিলে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ যেলার বিভিন্ন থানার প্রত্যন্ত গ্রামে কয়েক দফা ত্রাণ বিতরণ করে (রিপোর্ট: জুলাই সংখ্যা দ্রষ্টব্য)। অতঃপর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পুনরায় আরো ভয়াবহ আকারে বন্যা আঘাত হানলে ‘আন্দোলন’ সাধ্যমত সার্বক্ষণিক বানভাসী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে।

(১) ১৯শে জুন রবিবার : বন্যার পানিতে শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট মহানগর ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’ শাহজালাল উপশহরের বি, ই ও ডি ব্লকের ৫০টি পরিবারের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির ২০লিটারের বড় জার বিতরণ করে। মহানগর ‘আন্দোলন’-এর যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক, যেলা ‘যুবসংঘে’র সহ-সভাপতি গোলাম আযম ও হাদীছ ফাউন্ডেশন পাঠাগারের সদস্য আরমান প্রমুখ দায়িত্বশীলগণ বৃষ্টিতে ভিজে এবং হাটু ও কোমর পানিতে নেমে এই বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেন। 

(২) ২০ ও ২১শে জুন সোম ও মঙ্গলবার : তীব্র বন্যার কারণে সিলেটে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় নির্দেশে কুমিল্লা থেকে শুকনা খাবারের প্যাকেট ও মিনারেল ওয়াটার নিয়ে কুমিল্লা ও সিলেট যেলা নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে যেলার জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট উপযেলার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়। জৈন্তাপুরের সেনগ্রাম ও সারিঘাট; কানাইঘাটের গোয়ালজুর, বাঁশবাড়ী ও ফাগু এবং গোয়াইনঘাট উপযেলার কাফাউড়ার মোট ৯৪৫টি পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও খাবার পানি বিতরণ করা হয়। দু’দিনব্যাপী এই ত্রাণ বিতরণে সিলেট যেলা নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি কুমিল্লা থেকে যেলা ‘আন্দোলন’-এর যুববিষয়ক সম্পাদক জাফর ইকরাম, বুড়িচং উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক যহীরুল ইসলাম, দেবিদ্বার উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর যুববিষয়ক সম্পাদক যহীরুল ইসলাম, বুড়িচং সালাফিইয়াহ মাদ্রাসার সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ ও প্রিন্সিপ্যাল মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(৩) ২২ ও ২৩শে জুন বুধ ও বৃহস্পতিবার : ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সুধী ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর  অর্থায়নে এবং সিলেট যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র সার্বিক সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ যেলার তাহেরপুর উপযেলাধীন রামজীবন, নয়নগর, ইকরামপুর, নয়াগাঁও, মাড়ালা, শ্রীপুর ও উজান তাহিরপুর গ্রামের  ৯০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ওলী হাসান, ‘আন্দোলন’ ঢাকা যেলার সুধী ও ব্যবসায়ী জনাব মুহাম্মাদ আরমান, কাওছার আহমাদ, আব্দুল হান্নান, শফী আহমাদ ও সিলেট যেলা ‘যুবসংঘে’র সহ-সভাপতি গোলাম আযম ও অর্থ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম প্রমুখ উক্ত ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন।

(৪) ২৩ শে জুন বৃহস্পতিবার : সিলেট যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র উদ্যোগে শহরের তালতলা এলাকার পানিবন্দী ৪০টি পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হাফীয এ বিতরণ কাজে অংশগ্রহণ করেন।

(৫) ২৫ ও ২৬শে জুন শনি ও রবিবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও নরসিংদী যেলার  অর্থায়নে সিলেট ও সুনামগঞ্জ যেলার ৯৯৫টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নরসিংদী থেকে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট প্রস্ত্তত করে দু’টি মিনি ট্রাকে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরে রাতেই পেঁŠছানো হয়। অতঃপর ২৫শে জুন সুনামগঞ্জ যেলা সদর থেকে ট্রলারে করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে একাধিক হাওর পার হয়ে তাহেরপুর উপযেলার দুর্গম এলাকায় অসহায় মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেয়া হয়। উপযেলার উজান তাহেরপুর, মধ্য তাহেরপুর, রায়পুর, সূর্যেরগাঁও, লক্ষ্মীপুর, ভাটি তাহেরপুর, শ্রীপুর, মন্দিরহাতা, মাটিয়াল ও আনোয়ারপুর গ্রামের পানিবন্দী মোট ৪৭০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

পরদিন ২৬শে জুন রবিবার সিলেট যেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বর্ণী, পূর্ব বর্ণী, পশ্চিম বর্ণী, বর্ণী হাওর, বর্ণী কান্দিবাড়ী, গৌরী নগর; গোয়াইনঘাট উপযেলার, কাফাউড়া, ভিত্রিখেল হাওর পশ্চিমপাড়া, ভিত্রিখেল হাওর পূর্বপাড়া, ভিত্রিখেল, হাওর মধ্যপাড়া এবং জৈন্তাপুর উপযেলার হাজারী সেনগ্রামের বন্যাদুর্গত মোট ৫২৫টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দুই দিনে সর্বমোট ৯৯৫টি পরিবারের নিকট ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

দুইদিন ব্যাপী এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচীতে কেন্দ্র থেকে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক জালালুদ্দীন অংশগ্রহণ করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী যেলা ‘আনেদালন’-এর সভাপতি কাযী আমীনুদ্দীন, যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা ও দারুল অহী আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ ইমাম হোসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ বাদল মিয়া, অর্থ সম্পাদক হাফেয ওয়াহীদুযযামান, যুববিষয়ক সম্পাদক হেমায়েত হোসাইন, নরসিংদী যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইসহাক, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ওলী হাসান, সিলেট মহানগর ‘আন্দোলন’-এর যুগ্ম আহবায়ক শাববীর আহমাদ, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হাফীয, যেলা ‘যুবসংঘে’র অর্থ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।

২য় দিন ত্রাণ বিতরণ শেষে রাত ৯-টায় সিলেট শহরস্থ হাদীছ ফাউন্ডেশন লাইব্রেরীতে কর্মী ও দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট মহানগর ‘আন্দোলন’-এর আহবায়ক মুহাম্মাদ জাবের আহমাদের সভাপতিত্বে উক্ত বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ত্রাণ বিতরণে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান এবং সকলের জন্য দো‘আ করেন। এ সময় তিনি জামা‘আতী যিন্দেগীর গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন নরসিংদী যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইসহাক।

(৬) ২রা জুলাই শনিবার : সুনামগঞ্জ যেলার শান্তিগঞ্জ উপযেলার সলফ পূর্ব ও পশ্চিমপাড়া, নবীনগর, কছদ্দরপুর, অরিনগর ও দিরাই উপযেলার সিকন্দরপুর গ্রামের ৩২০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী এবং ১০০ পরিবারের মধ্যে নগদ ৭৫,০০০/= (পঁচাত্তর হাযার) টাকা বিতরণ করা হয়। উক্ত ত্রাণ বিতরণে সিলেট যেলা নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি ঢাকা-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর ওলী হাসান, ঢাকা-দক্ষিণ যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাযযাক, প্রচার সম্পাদক আহসান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(৭) ২রা জুলাই শনিবার : সিলেট যেলার কানাইঘাট উপযেলার ফাগু ও বাঁশবাড়ী এলাকার বন্যাদুর্গত ১৭৫টি পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও ৫০টি পরিবারের মধ্যে চাউল বিতরণ করা হয়। ময়মনসিংহ-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহযোগিতায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। সিলেট যেলা নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি ময়মনসিংহ-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি আবুল কালাম আযাদ, সাধারণ সম্পাদক ফযলুল হক, যুববিষয়ক সম্পাদক সারওয়ার জাহান, ময়মনসিংহ-দক্ষিণ যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি হাফেয এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী প্রমুখ উক্ত ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন।

(৮) ৩রা ও ৪ঠা জুলাই রবি ও সোমবার : সুনামগঞ্জ যেলার তাহেরপুর উপযেলার নতুনহাটি, বিরজল, সোনাপুর, নেয়ামতপুর, তেরঘর, মাটিহাটি, রতনশ্রী ও উজান তাহেরপুর গ্রামের ৩০২টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ ৩০,০০০/= (ত্রিশ হাযার) টাকা বিতরণ করা হয়।

পরদিন ৪ঠা জুলাই মৌলভীবাজার যেলার কুলাউড়া উপযেলার তিলকপুর, ফরিদপুর, মীরশংকর, ঘাটের বাজার, সোনাপুর, ভেহালা ও কুলাউড়া পৌরসভার ২০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উক্ত দুই দিনের ত্রাণ বিতরণে সিলেট ও মৌলভীবাজার যেলা নেতৃবৃন্দের সাথে কুমিল্লা থেকে যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা মুছলেহুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামীলুর রহমান, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ বেলাল হোসাইন, মহানগর ‘আন্দোলন’-এর সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ যিয়াউদ্দীন, কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য হারুণ ইবনে রশীদ, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, দেবিদ্বার উপযেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি জুবাইদুল আলম প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

২. কুড়িগ্রাম

(১) ২৮শে জুন মঙ্গলবার : কুড়িগ্রাম যেলার উলিপুর উপযেলাধীন মোল্লারহাট ও চর ঘুঘুমারি এলাকার বন্যার্তদের মাঝে ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। মুন্সিগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’ -এর আর্থিক সহযোগিতায় ৩৫০টি পরিবারের মধ্যে এই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রাম-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহফূযুল হক, মুন্সিগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও দারুল হাদীছ আইডিয়াল একাডেমী, মিরপুর, ঢাকার পরিচালক মুহাম্মাদ আনীসুর রহমান প্রমুখ উক্ত ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন।

(২) ৫ই জুলাই মঙ্গলবার : কুড়িগ্রাম যেলার রাজারহাট উপযেলাধীন গতিয়াসাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বন্যার্তদের মাঝে ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অত্রাঞ্চলের ৩১০টি বন্যার্ত অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এ সময়ে কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দাঈ অধ্যাপক আব্দুল হামীদ। অন্যান্যদের মধ্যে কুড়িগ্রাম-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহফূযুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, রংপুর-পশ্চিম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুকছেদুর রহমান, রংপুর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুন নূর ও সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মুতীউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

৩. নেত্রকোনা

কলমাকান্দা ৩০ জুন বৃহস্পতিবার : দুপুর ১২-টায় যেলার কলমাকান্দা উপযেলাধীন নল­াপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে এলাকার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৫৮৪ প্যাকেট বন্যাত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও আত-তাহরীক অনলাইন টিভির পরিচালক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় দাঈ অধ্যাপক আব্দুল হামীদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল বারী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও অত্র মসজিদের খতীব মাওলানা আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

৪. নীলফামারী

নীলফামারী-পূর্ব ২৪শে জুন শুক্রবার : যেলার জলঢাকা থানাধীন মৌজা শৌলমারী গ্রামের ২৭০টি বন্যাদুর্গত পরিবারের মাঝে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। উক্ত ত্রাণ বিতরণে কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর। অন্যান্যের মধ্যে যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, নীলফামারী-পশ্চিম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুস্তাফীযুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ফযলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত  ছিলেন।






আরও
আরও
.