আফগানিস্তানের
শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। এ নীতিমালা
অনুযায়ী নারীরা আগের মতই শিক্ষার সুযোগ পাবে। তবে শারঈ বিধান অনুযায়ী
প্রাইমারী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর স্তর পর্যন্ত ছাত্র এবং
ছাত্রীদের জন্য পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা থাকবে। ছাত্রীদেরকে বাধ্যতামূলক
বোরক্বা পরতে হবে। ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান করা হবে।
তালেবান সরকারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল বাক্বী হাক্কানী এসব নীতির কথা
তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সহ-শিক্ষার অনুমোদন দিব না। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের পৃথক করা হবে। এদেশের মানুষ মুসলিম। তারা এটা মেনে নেবে। তিনি বলেন, যেখানে মহিলা শিক্ষক নেই সেখানে বিকল্প খোঁজা হবে। যেমন পুরুষ শিক্ষকরা একটি পর্দার পেছন থেকে শিক্ষাদান করতে পারেন অথবা কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের প্রচুর সংখ্যক নারী শিক্ষিকা রয়েছে, যারা ছাত্রীদেরকে আলাদাভাবে পাঠদান করতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।