কাগজ থেকে ব্যাটারি!
লেখার সাধারণ কাগজ ভবিষ্যতে ব্যাটারি তৈরির কাজে ব্যবহার হ’তে পারে। এমনকি এই ব্যাটারি হ’তে পারে জ্বালানী সংরক্ষণের বড় আধার। বর্তমানে বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণ করার জন্য ব্যাটারিতে সাধারণত কার্বন ন্যানোটিউব ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কাগজ ব্যবহারে কম খরচে হাল্কা ও বড় ধরনের ব্যাটারি তৈরী সম্ভব। কাগজ ভাঙ্গা যায় না, একে ইচ্ছেমতো বাঁকানো ও ভাঁজ করা যায়-এ কারণেই ব্যাটারিতে ধাতব বা প্লাষ্টিক উপাদানের চেয়ে কাগজ ব্যবহার সুবিধাজনক। বৃটেনের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সেলফ থেকে ফেলে দেওয়া কাগজ নিয়ে কাজ শুরু করেন। কার্বন ন্যানোটিউবে ব্যবহৃত কালি দিয়ে সেটিকে রঙিন করেন। রং করা কাগজটি লিথিয়াম সমৃদ্ধ দ্রবণে ইলেকট্রোলাইটের সঙ্গে রাখেন। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাটারির বৈদ্যুতিক চার্জ তৈরী হয়। কাগজটি দ্রবণের বিক্রিয়া থেকে বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণ করে।
চর্বিযুক্ত খাবারে ওযন বাড়ার ভয় নেই
স্বাস্থ্যসম্মত ওযন রক্ষা করতে হ’লে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই। নতুন এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। খাবারের চর্বি থেকে একজন প্রোটিন ও কার্বহাইড্রেডের বিপরীতে যেটুকু ক্যালরি পায় তার সঙ্গে পরবর্তীতে আরো বেশী ওযন বেড়ে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আর কি ধরনের চর্বি তারা খেয়েছে সেটিও কোন ব্যাপার নয়। ব্রিটেনের ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটাবোলিক সায়েন্স ইনষ্টিটিউটের এডেনব্রুকস হাসপাতালের ডাক্তার নিতা ফেরোহি একথা বলেছেন। ফেরোহি বলেন, শুধুমাত্র চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াকে ওযন বাড়ার একমাত্র কারণ ধরে না নিয়ে বরং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা, সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত শরীর চর্চার চেষ্টা করাটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
শরীর হালকা রাখতে নতুন জিন
শরীরকে হালকা-পাতলা রাখার জন্য বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরনের জিনের সন্ধান পেয়েছেন। তারা বলছেন, এই ধরনের জিন মানুষের মুটিয়ে যাওয়া রোধ করতে সহায়ক। অষ্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীরা এমনি একটি জিন থেরাপি নিয়ে কাজ করছেন যার ফলে দেহের অতিরিক্ত চর্বি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এই ধরনের জিনের নাম দেয়া হয়েছে হেজহগ। তারা ইঁদুরের উপর গবেষণা করে দেখেছেন এ ধরনের জিন প্রয়োগের মাধ্যমে ইঁদুর হালকা-পাতলা থাকে এবং এসব ইঁদুর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। শিশু অবস্থায় ইঁদুরের দেহে কোন চর্বি থাকে না। সেই সঙ্গে যেকোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে প্রাপ্ত বয়সে চর্বি জমতে থাকে। এই জিন চর্বিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে শরীরকে কার্যক্ষম করে তোলে এবং ইঁদুরের হরমোনের কারণে মোটা হয়ে যাওয়া রোধ করা সম্ভব। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বে একশ’ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওযনজনিত সমস্যায় ভুগছেন।