
অদ্য
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া,
রাজশাহী প্রাঙ্গনে ফিলিস্তিনে ইসরাঈলী
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক বিরাট প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত
সমাবেশের বক্তারা বলেন, ইসরাঈল নামক মধ্যপ্রাচ্যের
বিষফোড়া এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গী রাষ্ট্রটি প্রায় ৭০ বছর ধরে ফিলিস্তীন ও গাজায়
আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত প্রায় দেড় বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে তারা গাযায় বোমা নিক্ষেপ করছে।
বর্তমানে পুরো গাযা একটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। নিহত
হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ।
সভ্যতার
দাবীদার আধুনিক বিশ্বের চোখের সামনে
এত নির্মম ও নৃশংস একতরফা গণহত্যা হয়ে যাচ্ছে। অথচ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বুলি
ছড়ানো দেশগুলো নির্বিকারভাবে তা দেখছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো পৃথিবীর কোথাও কুকুর
মরলেও বিবৃতি দেয়, সেখানে গাযার নির্মম গণহত্যা নিয়ে
নিশ্চুপ।
অপরদিকে
মুসলিম দেশের শাসকরাও নিশ্চুপ। ওয়াইসি নিশ্চুপ, আরব লীগ নিশ্চুপ। তারা বলেন, মুসলিম উম্মাহর
অনৈক্যের কারণেই ইহুদী জায়োনিস্টরা এই
নির্বিচার অন্যায় নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে। আর পিছনে শক্তি হিসাবে কাজ করছে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব। একসময়
বৃটিশরা তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যে বসিয়েছিল এবং আমেরিকা স্বীকৃতি দিয়েছিল। আজও আমেরিকা
ও ইউরোপ নির্লজ্জভাবে তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
তারা
বলেন, অবিলম্বে ইসরাইলের এই অন্যায় আগ্রাসন
বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি
দিতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জোর দাবি জানান
এবং ইসরাঈলী পণ্য বয়কটসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পেশ করেন।
আল-মারকাযুল
ইসলামী আস-সালাফীর ভাইস প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আহলেহাদীছ আন্দোলন
বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক
সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, অত্র মাদ্রাসার মুশরিফ
ড. আব্দুল হালীম, মুহাদ্দিছ শরীফুল ইসলাম মাদানী, জনাব শামসুল আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য একইদিনে সারাদেশে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর
পরিচালনাধীন হাদীছ ফাউণ্ডেশন শিক্ষাবোর্ড অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহেও
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।