
যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কী নিয়ে বিতর্ক চলবে, তা অনেকটাই নির্ধারণ করে দেয় দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন পরামর্শক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যাদের বলা হয় ‘থিংক ট্যাংক’। কিন্তু দেশটির শীর্ষস্থানীয় অনেক থিংক ট্যাংক কালো টাকায় ভাসছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব কালো টাকার অধিকাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার, সরকারী প্রতিষ্ঠান ও পেন্টাগনের সঙ্গে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে। গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘কুইন্স ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট’। গবেষণায় দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৪ইং) এসব প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের সরকার ও সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলারের অনুদান পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পিছনে টাকা ঢালার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর পরেই আছে যুক্তরাজ্য ও কাতার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টির মধ্যে ৩৬ শতাংশ (১৮টি) থিংক ট্যাংক বিপুল পরিমাণ কালো টাকায় ভাসছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থায়ন সম্পর্কে প্রায় কোন ধরনের তথ্যই প্রকাশ করে না। গবেষকরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে মার্কিন সরকার দেশটির থিংক ট্যাংকগুলোকে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার দিয়েছে। এর সিংহভাগই পেয়েছে র্যান্ড করপোরেশন, যারা সরাসরি মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করে।
কালো টাকায় চলা শীর্ষস্থানীয় ১৮টি থিংক ট্যাংকের তালিকায় রয়েছে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট, বেলফার সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, ক্যাটো ইনস্টিটিউট, সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ, সেন্টার ফর পলিসি সিকিউরিটি, সেন্টার ফর ট্রান্সআটলান্টিক রিলেশনস, ডিসকভারি ইনস্টিটিউট ও ফরেইন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ইত্যাদি।
[অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ঘুষ খেয়ে মিথ্যা প্রচার করে। ধিক এইসব থিংক ট্যাংকের। হে মিথ্যুকরা! আল্লাহকে ভয় কর (স.স.)]