মাহে রামাযান
-মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম
শিক্ষক (অবঃ), শিবগঞ্জ, বগুড়া।
বছর ঘুরিয়া আসিল ফিরিয়া পাক মাহে রামাযান,
ফযীলতের মাস পাপ মোচনের মাস মহিমান্বিত রামাযান।
ছিয়াম সাধনা মনের আরাধনা যে করিবে যত দান,
এক দানের বিনিময়ে সত্তর গুণ ছওয়াব পাপ হ’তে পরিত্রাণ।
ছিয়াম রাখিবে কাউকে না বকিবে খাবে হালাল খাদ্য,
করিবে না পাপ ডাকুক যত বাপ বাজাবে না সখের বাদ্য।
রাগিবে না রাগে শত্রুর বাগে বলিবে ভাই ভাই,
নম্র স্বরে সকলের তরে বলিবে কথা ঝগড়া-ঝাটি নাই।
ইসলাম হ’ল শান্তি চায় না অশান্তি করে সত্যের গুণগান,
আল্লাহর দরবারে চাই ক্ষমা করজোড়ে সুখে ভাসুক প্রাণ।
হে রামাযান মাহে রামাযান তোমাকে হাযার সালাম,
সারা মাস ধরে মনের মত করে পাঠ করি পাক কালাম।
থেকে ছিয়াম অনাহারে ভাবি সদা পরপারে হবে কি গো ঠাঁই?
চাই শুধু ক্ষমা পুণ্য করে জমা জান্নাতে যেতে চাই।
পবিত্র মাস সাধনার মাস করিলে অবহেলা
ঠকিবে জীবনে পাবে না মরণে পুণ্যের সূর্য বেলা।
ছিয়াম-ছালাত আগে মনে যদি জাগে করিও কাজ পরে,
ইচ্ছাই যথেষ্ট মনের সন্তুষ্ট যেতে আল্লাহর ঘরে।
রামাযান মাসে আরো তবে পাবে শবে ক্বদরের রাত,
চাইবে যত পাইবে তত, উপার্জন করিবে বারাত।
শোন মুমিন ভাই বলে শুধু যাই কর আল্লাহর কাজ,
পাইবে সুফল পুণ্যের ফসল মাথায় উঠিবে তাজ।
হে মহান আল্লাহ নেই মোর পাল্লা, পাপী আমি বড় পাপী,
ক্ষমা করো মোরে নাই কেউ ঘরে শুধু তুমিই অন্তর্যামী।
***
আত্মশুদ্ধির ছিয়াম
-এফ.এম. নাছরুল্লাহ বিন হায়দার
কাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
আত্মশুদ্ধির ছিয়াম
আপন করে কাছে নিলাম,
ইবাদত আর বন্দেগীতে
ছিলাম যে মশগূল,
পুলছিরাত পার করিও
হে মহান রাববুল\
আল্লাহর দ্বীনের উপর অটল
কভু ধরতে দেইনি ফাটল,
রাসূল তুমি রবের কাছে
কইরো শাফা‘আত!
দিন-রজনী আমি তাঁরই
করব ইবাদত।
ধনী গরীব সবাই মিলে
চলরে চল ঈদ গাহেতে...
মিলন মেলায় মিলব সবাই
ধ্বংসিব অহংকার,
ঘরে ঘরে সুখ-আনন্দ
দিল উপহার\
***
ক্বদরের রাতে
-ডাঃ মুহাম্মাদ গোলাপ উদ্দীন মিয়া
ওসমানপুর বাজার, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
জীবনের যত পুঞ্জীভূত পাপ
সঞ্চিত অপরাধ
ছগীরা কবীরা যাহেরী বাতেনী
শিরক ও বিদ‘আত।
নাই হেন পাপ করিনি আমি
নফসের দাস সাজি
এ মহা রাতে নাজাতের আশে
স্বীকার করিনু আজি,
তোমার বারতা ক্বদরের রাতে
পাপী তাপী গুনাহগারে
ক্ষমা ও নাজাত দানিবে তুমি
রহম ও করুণা করে।
আমি গুনাহগার তুমি গাফ্ফার
রহীম ও রহমান
পথহারা যত পাপী গুনাহগারে
করগো নাজাত দান।
***
বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী
-শাপলা
বিরামপুর, দিনাজপুর।
বছরের শ্রেষ্ঠ আছে এক রজনী
এ রাত পাই রামাযান আসে যখনি।
রামাযানের শেষের দশ
বেজোড় সংখ্যার মাঝে তাকে করি তালাশ।
‘লায়লাতুল ক্বদর’ এই রাতের নাম
রাত জেগে দেই প্রভুকে এই রাতের দাম।
সেই জন পাবে এ রাতে অনন্ত ছওয়াব
যার হৃদয়ে নেই আল্লাহর প্রেমের বিন্দুমাত্র অভাব।
ভালবেসে শ্রদ্ধাভরে এ নিশিকে করি গ্রহণ
ছালাত আর কুরআন পড়ে তাকে করি বরণ।
পালন করে এ রাতকে বিশ্বের সব মুসলিম জাতি
দেখতে চায় সবাই এ রাতের পবিত্র উদ্দিপ্ত জ্যোতি।
অমূল্য আলোর সন্ধানে জেগে কাটাই নিশি
অনেক কামনার পরও দেখি না নয়নে সে শশী।
একদিন মনের অজান্তেই হয় শবে ক্বদর
তখন ফেরেশতারা ঈমানদারের জীবন ঢেকে দেয়
দিয়ে পূর্ণতার চাদর\
***