অাঁধারে আলো
-মুহাম্মাদ শফীউদ্দীন
শিক্ষক (অবঃ), দক্ষিণ ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল।
অাঁধার অাঁধার চারিদিকে হায়
কোথা নাহি আলোকণা,
যেদিকে তাকাই দেখিবারে পাই
কেবলি উন্মাদনা।
নর-নারী সবে অাঁধারেতে ডুবে
করিতেছে হাবুডুবু,
সবলেতে জোরে দুর্বলেরে ধরে
পীড়নে করিছে কাবু।
শুধু রণ-রণি অসি ঝনঝনি
নিয়ত আনিছে ত্রাস,
আরব মরুর বালুকার পর
মরণের হা হুতাশ।
আজি এ নিশিথে মিথ্যা নাশিতে
লৌহ-মাহ্ফূযের বাণী,
আসিল ভাসিয়া দিতে ভাসাইয়া
সকল অধর্ম গ্লানি।
সেই পুণ্যবাণী বিশ্ব বিমোহিনী
মুহাম্মাদ (ছাঃ) মুখ-মাঝে,
উঠিল ফুটিয়া সত্যকে লইয়া
অজ্ঞ আরবের মাঝে।
চারিদিকে আজি উঠিলরে বাজি
শান্তির বিজয় তান,
ধন্য ধন্য বলি বিশ্বের সকলি
গাহিল আল্লাহর গান।
হেরা হ’তে আনি কুরআনের বাণী
মহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)
পশি নিজ ঘরে ডাকি খাদীজারে
কহিলেন এইমতে,
‘নামূসুল আকবর’ ফেরেশতা প্রবর
জিবরীল আসি হেরাতে।
মোরে জোরে ধরে পড়িবার তরে
চাপি মোর পেশানীতে,
তিনবার ধরি জ্যোতি বিস্তারি
ছাড়ি যান আকাশেতে।
এহেন জ্যোতির জ্বালায় অধীর
এসেছি তোমার গৃহে,
জড়ায়ে কম্বলে মোর দেহ কলে
সান্ত্বনা দিও স্নেহে।
এটাই সে আলো
যার প্রভায় আলোকিত হবে জাহান,
মানবতার মুক্তির তরে
দানিয়াছেন রহীম-রহমান।
***
একান্ত আকুতি
-মুহাম্মাদ আতিয়ার রহমান
মাদরা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
ওগো আমার রব, মালিক প্রভু
রহীম ও রহমান,
এ মহা বিশ্বের যত সৃষ্টি
সকলি তোমার দান।
আমার হস্ত আমার পদ
আমার দেহ ও মন,
তব ইবাদতে থাকে যেন রত
সদা ও সর্বক্ষণ।
শিরক ও বিদ‘আত আছে যা বাতিল
নাহি যেন কভু মানি,
শক্তি দাও গো বাহু ও মনেতে
হিম্মত দাও মোরে দানি।
তব দেওয়া পথে চলিতে আমাকে
তুমি মোরে শক্তি দাও
আমার সত্তা জান্নাতের তরে
ক্রয় করিয়া লও!
দয়া করো মোরে ওগো দয়াময়
অধম বান্দার পর,
হয় না যেন কভু মমশির পরে
করুণার রুদ্ধ দ্বার।
এপার ওপার দু’পারে যেন
আপন তোমাকে পাই,
কবুল করো গো দীনের দো‘আ
ওগো মালিক সাঁই।
***
অবাক লাগে
-মুহাম্মাদ সিরাজুদ্দীন
মাহিগঞ্জ, রংপুর।
অফিস পিওন ছাহেব সাজে
কামাই করে টাকা,
জায়গা-জমি গাড়ি করে
বাড়ি করে পাকা।
বেতন যাহোক উপরি কামাই
অনেক টাকা আয়,
সারাক্ষণে খাই খাই ভাব
তাইতো চেহারায়।
গায়ের মানুষ মোড়ল বানায়
গভীর অনুরাগে,
এমন মানুষ দেখলে যে তাই
শুধুই অবাক লাগে।
***