আতিয়ার রহমান
মাদরা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
কোন খানেতে ভিড়বে আমার জীবন তরী?
প্রভাত হ’তে রেখেছি আমি হালটি ধরি।
অল্প সময়ে কাটলো শৈশব সে তো আমায় রাখলো না
শিশুর শেষে বাল্য এসে জানায় সালাম আনমনা।
চিন্তা করি জীবন ভরি থাকবো আমি বাল্যতে,
কিন্তু আশা সব দুরাশা চিড় ধরলো সবটাতে।
বেশ ক’টা দিন কাটলো সেথায় বাল্য সেতো রাখলো না,
আমার জীবন সুখের ভেলা তাকিয়ে সেতো দেখলো না।
খুব আশাতে দিবস রাতে নাও ভিড়ালাম কৈশোরে,
তাও যে সে তাড়িয়ে দিলো রাখলো না আর তার দ্বারে।
রঙিন হাতের হাত ছানিতে নাও ভিড়ালাম যৌবনে,
গুনগুনানী মৌপিয়াসী গান ধরিছে মৌবনে।
মন মাঝিরে বলতেছিলাম এটাই আমার শেষ নিবাস,
হেথায় আমি ফেলবো আমার শান্তি সুখের আশার শ্বাস।
কাটলো ক’দিন তার পরেতে তুলতে হ’ল পাততাড়ি,
ভাবতেছিলাম কোথায় আমার ঠিক ঠিকানা নিজ বাড়ী?
রতন সমান যতন করে ডাকলো আমার প্রেŠঢ়,
নির্যাতনে অনাদরে আচরণ তার খুব রূঢ়।
দিনের শেষে দ্বীনের বেশে নাও ভিড়ালাম বার্ধক্যে,
এটাই আমার শেষ ঠিকানা মনের ভিতর নেই এঁকে।
অবশেষে ফকীর বেশে কবরেতে পৌঁছে দেয়,
আমার বাওয়া জীবন তরী হেথায় এসে নাও ভিড়ায়
এটাই আমার নিজ ঠিকানা হেথায় শেষে পৌঁছে যায়।