ইউরোপের
বিভিন্ন দেশে বোরক্বা ও নেকাব নিষিদ্ধ। শুধু ইউরোপ নয়, অনেক মুসলিম প্রধান
দেশেও বোরক্বা ও নেকাব বিভিন্ন কারণে নিষিদ্ধ। যেমন-
চাদ : ৫৭% মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশটিতে ২০১৫ সালে দু’টি বোমা হামলার পর নারীদের মুখ ঢাকা পোষাক নিষিদ্ধ হয়। বোরক্বা কোথাও বিক্রি করা হচ্ছে দেখলে তা সাথে সাথে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও ঘোষণা দেন চাদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে রাখা হয়েছে কারাদন্ডের বিধান।
তাজিকিস্তান : ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ার মুসলিম প্রধান (৯৭%) দেশ তাজিকিস্তান বোরক্বা ও হিজাব নিষিদ্ধ করে। ইসলামী মুখঢাকা পোষাক পরার চেয়ে দেশটির ঐতিহ্যগত পোষাক পরায় মনোযোগী হ’তে নারীদের আহবান জানায় দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এই আইন অমান্য করলে কোন সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়নি, তবে শিগগিরই জরিমানা বা কারাদন্ড চালু করা হ’তে পারে।
মরক্কো : আফ্রিকার ৯৯% মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশ মরক্কোতে ২০১৭ সালে বোরক্বার উৎপাদন, আমদানী ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি দেশটির সরকার।
নাইজার : ৯৯% মুসলিম ধর্মাবলম্বীর এই দেশটিতে উগ্রবাদী গোষ্ঠী বোকো হারামের কার্যক্রম বেশী থাকায় দেশটির দিফা এলাকায় নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রয়োজনে হিজাবও আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
তিউনিশিয়া : ২০১৯ সালের ৫ জুন গণ-জমায়েতের স্থান, গণ-পরিবহন ও সরকারী অফিস-আদালতে নিকাব নিষিদ্ধ করে তিউনিশিয়া সরকার। উগ্রবাদী আক্রমণ মোকাবেলাই হচ্ছে এর প্রধান কারণ বলে জানায় আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান এ দেশটির সরকার।