কা‘বার আহবান

আতিয়ার রহমান

মাদরা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।

বহু দিন হ’তে কান পেতে শুনি কা‘বার আহবান,

শুনিয়া সে ডাক চলে যেতে সেথা মন করে আনচান।

প্রাণের প্রিয় নবীজী আমার যেথায় ঘুমিয়ে আছে,

যাবো আমি সেথা আমার নবীর প্রিয় স্বদেশ মাঝে।

নিশি জাগরণে শয়নে  স্বপনে কা‘বার স্বপ্ন দেখি,

হৃদয়ের পটে মরুপ্রান্তরের নিখুঁত চিত্র অাঁকি।

নবীজী আমার যেথায় যেথায় রেখেছেন চরণ দু’টি,

তনু-মন মম সেথায় লুটিয়ে শিরেতে মাখিবে মাটি।

ঝরিছে রুধীর মারিছে নবীর অভাগা তায়েফবাসি,

প্রতিশোধ তবু নেয়নি মোটেও সয়ে গেছে সবি হাসি।

দয়ার নবী হাসি ভরা মুখে সয়েছেন অত্যাচার,

একদিনও তরে হয়নি কখনও দয়ার রুদ্ধ দ্বার।

মক্কার কা‘বায় যাব আমি যাব আর যাব মদীনায়,

আমার রাসূল ঘুমিয়ে যেখানে চিরদিন নিরালায়।

এহরাম বেঁধে তালবিয়াহ পাঠে রত আমি সেথা রবো

তাওয়াফ-সাঈ, দো‘আ ও দরূদে সব গোনাহ ঝেড়ে লবো।

হাজারে আসওয়াদ চুমিবার সাধ মিটাতে আমি যেন পারি,

আমি মেহমান আল্লাহ মেজবান আজিকে আমি তো দ্বারী।

নাম নিতে নয় দাম নিতেও নয় শুধুতো প্রাণের টানে,

হৃদি মন আমার চলে যায় সেথা কা‘বার এ আহবানে।

ওগো আমার পরোয়ারদেগার এসেছি তোমার দ্বারে,

তুমি ছাড়া আর নাই তো কেহই আমারে ক্ষমিতে পারে।

ক্ষমা কর মোরে পাপী তাপী আমি ওগো আমার পরোয়ার!

গোনাহগার তরে তোমার দয়ার করো না রুদ্ধ দ্বার।

কুরবানী

এম ফারূকুযযামান

সাতক্ষীরা।

কুরবানী নয় শুধু প্রাণ বলিদান

তাক্বওয়ার অলংকারে নিজেকে সাজান।

ইবরাহীম আদিষ্ট স্বপ্নিক বিধানে

পুত্রের বিনিময়ে প্রিয় পশু হননে।

প্রকৃতির সৃজন প্রণিপাত অর্চনে

পরিবারে একটি জান ত্যাগ ক্রন্দনে।

ধর্মীয় উৎসব তৃপ্তিতে ভরপুর

অহি বহির্ভূত বিধিমতে সুরাসুর।

কুরবানীর কিছুই লাগে না প্রভুর

অধুনা জাতি শিরক করতে নিষ্ঠুর।

সাত ভাগে কুরবানী করে ভ্রান্ত সূর

ফিক্বহী রোষাণলে অজ্ঞ অন্ধ ফতুর।

প্রকৃত কুরবানীর রূপরেখা অাঁকি

আসুন! পাপ-গুনাহ ত্যাগে হই মুত্তাক্বী।

ঈদের দিনে

আলী হোসেন সাদ্দাম

মহদীপুর, কাহারোল, দিনাজপুর।

ঈদের দিনে সবাই মিলে

ঈদগাহেতে যাই,

মুখে থাকে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি

শান্তি খুঁজে পাই।

ঈদের মাঠে করে সদাই

শান্তি বিরাজমান,

দূর হয়ে যায় মনের যত

হিংসা-বিদ্বেষ, অভিমান।

ছালাত শেষে গরীব-ধনী

করি মোলাকাত,

সৃষ্টি হয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন

ধনী-দরিদ্রের ভেঙ্গে যায় বাঁধ।

ঈদের হাসি

তাসলীমা আখতার মাস‘ঊদা

ঝাউদিয়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

ঈদের হাসি ঝিলিক দেয়

বাঁকা চাঁদের গায়

ঈদের ছালাত আদায় করতে

চলো ঈদগাহেতে যাই।

আতর গোলাপ সুগন্ধি

সবাই মাখামাখি

দুঃখ-বিভেদ ভুলে গিয়ে

প্রাণ খুলে সব হাসি।

এক জামা‘আতে ছালাত পড়ি

কাঁধে কাঁধ মিলে

অতীতের হিংসা বিভেদ

সবই যাই ভুলে।

কুরবানী থেকে শিক্ষা নিই

ত্যাগ-তিতিক্ষার তরে

অনাথ যারা তাদের নিব

অতি আপন করে।

ঈদ মানে হাসি-খুশি

নয় রেশা-রেশি

থাকে যদি সবার মাঝে

ভাল বাসা বাসি।

ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মরণে

আব্দুল খালেক

খান হোমিও হল, পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা।

মুক্তির মোহে নত নই মোরা মুক্তির লাগি মর্তে,

শক্তির ভয়ে পিছাইনি কভু সত্য বলার শর্তে।

অগ্নি দহন বিপরীত ফল জানিল যারা নার,

বিপরীত রেশে হ’ল নিঃশেষ কুফুরী অঙ্গীকার।

অনুচর যত ছিল ধরায় ফেরাঊন ফের্কাতে,

বিফল তাদের আশার আলোকাঠ পোড়ে অগ্নিতে।

আগুন ও নর রবের সৃষ্টি কে বুঝাবে কাকে,

দু’য়ের মাঝে মানব যে সেরা অগ্নি দহিবে তাঁকে?

জাতির পিতা খেতাবে যে রব পাঠালো মর্ত পরে,

কুফুরী নারে কখনও তাহাকে দহন করিতে পারে।

কাঠ চেয়ে রত ঈমান যে ভবে প্রমাণিল রহীম,

ফেরাঊন রোষে কাঠ পুড়ে ছাই অক্ষত ইবরাহীম।

ব্যক্তির ভয়ে ভীত যারা ভবে দু’পারে অপমান,

রবের নীতিতে হও মুসাফির দেবে সবে সম্মান।

বিধির বিপরীত হ’ল ফেরাঊন আখের তক ধিক,

ইবরাহীম হ’ল জাতির পিতা ইহ-পর সব ঠিক।







আরও
আরও
.