বোতলজাত পানি কম নিরাপদ!
ট্যাপের পানির চেয়ে বোতলের পানির দাম অনেক বেশী হ’লেও তা ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের জন্য কম নিরাপদ। যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্যাপের পানির বিশুদ্ধতা নির্ণয়ে নিয়মিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। সে তুলনায় বোতলজাত বিভিন্ন ধরনের পানির বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের পরীক্ষায় কম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। ফলে বোতলজাত পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী এবং এই পানি রোগ জীবাণুর উৎস হ’তে পারে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়ার মতো ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্যাপের পানিতে পরিমিত ক্লোরিন থাকে। কিন্তু একবার বোতলজাত করার পর পানি বিক্রি হওয়ার আগ পর্যন্ত মাসের পর মাস ধরে তা গুদামে পড়ে থাকে। ক্লোরিন জাতীয় পদার্থের অনুপস্থিতিতে তখন সেই পানিতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আবার বোতল একবার খোলার পর সেই পানিতে জীবাণু জন্মানোর সুযোগ থাকে। তাই দু-এক দিনের মধ্যেই সেই পানি খেয়ে ফেলার বিকল্প নেই।
[মিনারেল ওয়াটার নামের ভাঁওতাবাজ পানি ব্যবসায়ীরা সাবধান হও। নইলে আল্লাহর গযবে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। সরকারের দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে সাবধান হবেন কি? (স.স.)]
ব্যাটারী ছাড়াই চলবে হার্টবিট-পাওয়ার্ড পেসমেকার
ব্যাটারীর বদলে হৃদপিন্ডের স্পন্দন থেকে পাওয়া শক্তিতেই চলবে ভবিষ্যতের হৃদরোগীদের পেসমেকার। এমন আশা যোগাচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের বিজ্ঞানীদের তৈরী প্রোটোটাইপ কার্ডিয়াক এনার্জি হারভেস্টার। বর্তমানে পেসমেকার ব্যবহারকারীদের ৫ থেকে ১০ বছর পর পর অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় পেসমেকারটির ব্যাটারী বদলাতে। বিজ্ঞানীদের তৈরী নতুন পেসমেকারের প্রোটোটাইপটি সফল হ’লে বার বার যেতে হবে না ডাক্তারের ছুরির নিচে। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের ইরানী বিজ্ঞানী আমিন কারামী এ ব্যাপারে বলেন, ‘হৃদপিন্ডের সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীদের অনেকেই শিশু। এই প্রযুক্তির ব্যবহার সফলভাবে সম্ভব হ’লে কতগুলো অপারেশন থেকে ওরা বেঁচে যাবে, তা আপনারা বুঝতেই পারছেন।’
অ্যারোবিক ব্যায়ামে স্মরণশক্তি বাড়ে
উন্মুক্ত বায়ুতে ব্যায়াম করাকে এরোবিক ব্যায়াম বলে। যেমন সকালে দ্রুতপায়ে হাঁটা, সাইকেল চালানো, মাঠে ঘাম ঝরিয়ে কাজ করা, জগিং করা ইত্যাদি।
অ্যারোবিক ব্যায়ামে মানুষের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এই ব্যায়ামকারীরা তুলনামূলকভাবে বেশী চটপটে হয়। নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর গবেষকরা বলছেন, যারা নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম করেন না তাদের তুলনায় অনেক বেশী চটপটে এ ধরনের ব্যায়াম অভ্যাসকারীরা। শরীরচর্চার এ বিশেষ দিকটি মস্তিষ্কের সার্বিক কার্যক্রমকে আরও বেশী সক্রিয় ও সচল করে তোলে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতায় এক ধরনের অবসাদ আসতে থাকে বা মানসিক শক্তি কমতে থাকে। কিন্তু যারা অ্যারোবিক ব্যায়াম করেন তাদের ক্ষেত্রে ফলাফল সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্মরণশক্তি থেকে শুরু করে গুছিয়ে কাজ করার স্পৃহা বাড়ে এ ধরনের চর্চায়। তারা কাজের দিক থেকে অনেক বেশী চটপটে। তাই শরীর ও মনকে চনমনে ও চটপটে করতে অ্যারোবিক ব্যায়াম চর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।