প্রস্থানের ঘণ্টা
আতিয়ার রহমান
সোনাবাড়িয়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
জীবন প্রদীপ নিভানো সংকেত
ঘণ্টা বাজিছে দূরে,
অজানা এক সুরে মম নাম ধরে
ডাকে ঐ বারে বারে।
পথিক আমি তো পান্থশালায়
রয়ে গেলাম কিছু দিন,
স্মৃতির পাতায় রেখে গেনু আমি
অাঁকা বাঁকা কিছু চিন।
কত যে যাতনা বেদনা বিধুর
ধরণীর পান্থশালা,
কাঁটাভরা পথে চলিতে ফিরিতে
বিদায়েতে ফুলমালা।
প্রফুল্ল বদন আসিয়া দেখিনু
বিদায়েতে রোনা সুর,
বিদায়ী বিলাপ ভেসে যায় আজি
দূর হ’তে বহু দূর।
আমার কৃতি আমার স্মৃতি
আমার কর্ম যত
যত দিন রবে মনের গহীনে
ব্যথা দিবে অবিরত।
আল্লাহর ডাকে যেতে হবে চলে
চিরস্থায়ী বাঁধা ঘরে,
রুখিতে নারিবে যেতে হবে চলে
যত ভাসো অাঁখি নীরে।
সাথে পুঁজি কিছু নিতে যদি পারি
এটাই সম্বল মোর,
তবেই তো আমার হবে পরিত্রাণ
হবে না রুদ্ধ দোর।
মিডিয়ার ছোবল
আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
নওদাপাড়া মাদরাসা, রাজশাহী।
যুবসমাজ ঘুরছে এখন
আধুনিকতার রাস্তাতে,
কুসংস্কারের বিষাক্ত থাবা
তুলছে তাদের বস্তাতে।
মিডিয়ার সর্প ছোবল
দিচ্ছে না তাদের নিষ্কৃতি,
স্বভাব তাদের বিনাশ করল
পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি।
হানছে আঘাত প্রবল বেগে
মুমিন হিয়ার শিষ্টতে,
নারীর প্রেমে টাকার মোহে
বেচছে ঈমান স্বহস্তে।
হুঁশিয়ার হও কোমল মনের
নির্ভীক নওজোয়ান,
খাঁটি দ্বীন কায়েমে
সম্মুখ পানে হও আগুয়ান।
সুন্দর কর আপন পরাণ
প্রভুর প্রতি আস্থাতে,
ঈমান কেনা যায় নারে ভাই
হিরা, সোনা আর অর্থতে।
কবরের ডাক
আব্দুল্লাহ
হাকিমপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রতিদিন ডাকি তোমায়
নেই কোন চেতনা
সময় থাকিতে কর
পরকালের সাধনা।
ডাকার মত ডাকব একদিন
আমি অন্ধকার কবর
আসতে হবে আমার কোলে
রাখ না কেন খবর?
সাপ-বিচ্ছু আযাব-গযব
থাকবে তুমি একেলা
তোমার যেদিন ডাক পড়িবে
পড়বে কান্নার মেলা।
ছেলে-মেয়ে কাঁদবে সবাই
কেউ হবে না সাথী
আমি কবর নির্জন গৃহ
থাকবে না সেথা বাতি।
তোমার সম্বল ঈমানের বল
হিসাব কর পথে
শান্তি যদি পেতে চাও
আমল আনিও সাথে।
আহলেহাদীছ আন্দোলন
-মাক্বছূদ আলী মুহাম্মাদী
ইটাগাছা পশ্চিম, সাতক্ষীরা।
আহলেহাদীছ আন্দোলন নহে জঙ্গীসংগঠন, নহে কখনো সন্ত্রাসী
হক্বের পথে দাওয়াত দিতে বোমাতে নয়, মশীতে চির বিশ্বাসী।
লেলিয়ে দেয়া হায়েনার মত করে না কারো প্রাণ নাশ,
হায়েনার দল হানাহানিতে অহি-র বিধান করছে গ্রাস।
দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা মোদের এক নয় ‘জিহাদ ও জঙ্গীবাদ’
ছলনায় ভরা মানি না মোরা, ত্বাগূতের যত মনগড়া মতবাদ।
আখেরী নবীর (ছাঃ) আদর্শ নিয়ে পথ ভোলাদের দেখালে পথ,
নমরূদ-ফিরাউনরাই সেপথের বাঁধা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ।
দোদুল্যমান এ হতভাগা মুসলিম জাতি, চিনলো না তাদের কর্ণধার,
লক্ষ্য যাদের স্বার্থের মোহ বিজাতির হাতে খাবে শত মার,
নন্দিত তাই বিশ্বময় আজ ডঃ গালিবের ধর্ম-সমাজ ও সাহিত্য সংস্কার।
***