ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক

‘বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আফ্রিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে মারা যায় একজন শিশু। এই রোগটিকে প্রতিরোধ করার জন্য এখনও পর্যন্ত কোন টিকা বের হয়নি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক বিশেষজ্ঞ টিম গবেষণা করে বের করেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ অ্যাজিথ্রোমাইসিন ম্যালেরিয়া থেকে শুধু আরোগ্যই করে না, এই অসুখটির বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ শক্তিও গড়ে তোলে। বার্লিনের মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষক সংক্রমণ জীববিজ্ঞানবিদ ডাঃ ইওহানেস ফ্রিজেন ও তাঁর টিম গবেষণাগারে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এই ওষুধের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

যুদ্ধে নামবে অদৃশ্য ট্যাঙ্ক

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সামরিক গবেষকরা এমন একটি ট্যাঙ্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছেন যা অদৃশ্য থেকেই গোলাবর্ষণ করতে পারবে। জানা গেছে, অদৃশ্য এই ট্যাঙ্ক আগামী বছর পাঁচেকের মধ্যেই নেমে পড়বে যুদ্ধক্ষেত্রে। অস্ত্রসজ্জিত এই ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হবে ‘ই-ক্যামোফ্লেজ’ নামের প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে ট্যাঙ্কে ব্যবহৃত হবে ‘ইলেকট্রনিক ইঙ্ক’ যা ট্যাঙ্কটিকে চোখের আড়ালে রাখবে। উচ্চপ্রযুক্তির সেন্সর লাগানো থাকবে এই ট্যাঙ্কে যা চার পাশের পরিবেশ থেকে ছবি ধারণ করে আক্রমণ করতে পারবে। সমুদ্রের নীচে থাকা স্কুইড যেমন ছদ্মবেশ ধারণ করে বা অদৃশ্য থেকেই হঠাৎ আক্রমণ করে বসে, ঠিক এমনটিই করবে এই অদৃশ্য ট্যাঙ্কও। এই ট্যাঙ্ক মানুষ চালিত বা মানুষ ছাড়াই চলবে। এতে বিভিন্ন ধরনের মরণাস্ত্রও থাকবে।

শুকনো পানি

পানি স্বাভাবিকভাবে তরল হলেও সম্প্রতি গবেষকরা শুকনো পানি তৈরি করেছেন। এ শুকনো পানির প্রতিটি দানা দেখতে অনেকটা চিনির দানার মতো। গবেষকরা জানিয়েছেন, শুকনো পানির প্রতিটি দানার ভেতরে রয়েছে একবিন্দু পরিমাণ তরল পানি যা ঘিরে আছে সিলিকা বা বালি। তারা আরও জানান, এ শুকনো পানির দানার প্রতিটির মধ্যে ৯৫ শতাংশই তরল পানি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ শুকনো পানির দানা বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও এ পানি তরল পানি অপেক্ষা বেশী কার্বন-ডাইঅক্সাইড ধারণ করতে পারে। এছাড়াও শুষ্ক পানিকে মিথেন এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণের জন্যও একটি কার্যকর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

আসছে কৃত্রিম গোশত

যুক্তরাষ্ট্রের মাউথ ক্যারোলাইনা মেডিকেল ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ল্যাবরেটরীতে কৃত্রিম গোশত তৈরির গবেষণা চালাচ্ছেন তারা। শেষ পর্যন্ত গবেষণায় সফলতা এলে বেঁচে যাবে অনেক প্রাণীর জীবন। নেদারল্যান্ডসেও এ ধরনের গবেষণা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, এ গবেষণা সফল হ’লে খাদ্য সমস্যা সমাধানের পাশাপাশ মানব শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিুস্যু চিকিৎসায়ও অভাবনীয় সাফল্য আসবে।






আরও
আরও
.