ছায়েম

মাওলানা আলাউদ্দীন

বাঁকড়া, চারঘাট, রাজশাহী।

কত শত বছর রামাযান

এসেছে পাপ মোচনের তরে,

পাতকী হতভাগা নাদান

পৌঁছেনি রামাযান তব দ্বারে।

মিথ্যা, চুরি, গীবত, অপবাদ

রামাযান আর গায়র রামাযান,

সুদ-ঘুষ আরও কত অপরাধ

আজও ছাড়নি আজব শয়তান।

সহস্র মাসের চেয়ে উত্তম রাত

বারংবার এসেছে ফিরে,

নিজেকে শুধরাতে পারেনি অধম

কি জবাব দেবে প্রভুরে?

জীবনে কৃত যত পাপ

মাফ করিয়ে নেবার তরে,

কভু করনি তওবা অনুতাপ

কি অবস্থা হবে তোমার হাশরে?

সুস্থ-সবল ক্ষমতা থাকিতে

একটি ছিয়াম যদি ছাড়ে

সেই ক্ষতি পূরণ করিতে

পারিবে না সারাজীবন ধরে।

ছিয়াম শুধু সৃষ্টিকর্তার জন্য

ফরয করেছেন মহান রবে,

অশেষ ছওয়াব ক্ষমা রহমত

এ মাসে ছায়েম পাবে।

উদর ভরেছ করেছ অতিভোজ

রামাযানে দিনের বেলা,

রাখলে ছিয়াম থাকলে অনাহারে

বুঝিবে ক্ষুধার্তের জঠর জ্বালা।

অশ্রাব্য ভাষা কর পরিহার

খুশি কর সৃষ্টি ও স্রষ্টারে,

সুখ-শান্তিতে ভরিবে সংসার

মহাসুখী হবে পরপারে।

ফিরিলো রামাযান

মুহাম্মাদ লাবীবুর রহমান

হয়বৎপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

ফিরিলো রামাযান জানাবার তরে

উঠিলো নব বিধু ঐ অম্বরে।

ভাগ্যবতী, ওহে ভাগ্যবান!

গাও বারংবার আল্লাহর গুণগান।

বছর ঘুরিয়া ফিরিতে রামাযান

হইয়াছে অনেকের জীবনাবসান,

বিশাল এ বসু ছাড়িয়া তাহারা

সাড়ে তিন হাত কবরে লইয়াছে স্থান।

পাইলে তোমরা এবারও রামাযান

হইও না আর আল্লাহর নাফরমান,

হইতে পারে ইহাই তোমাদের

এ জীবনের শেষ শুভক্ষণ।

পুরা রামাযান মাস ছিয়াম রাখিয়া

রহমত মাগফেরাত নাজাত চাও,

অতীতের সব গোনাহের তরে

খালেছ দিলে ক্ষমা চেয়ে নাও।

ছালাত করিয়া নিত্য সহচর

পণ করো পড়িবে জীবনভর,

ফিরিলে কেবল রামাযান আর

ঈদ ও সপ্তাহে পড়িবে না একবার।

এগার মাসের ন্যায় এ রামাযান

স্বীয় মর্জি মাফিক করো না যাপন,

পরিতাপ করিতে নাহি যদি চাও

সময় থাকিতে হও সচেতন।

কদরের রাত

মুহাম্মাদ সাইফুযযামান

শোলামারী, মেহেরপুর।

কদর রাতের ফায়দা নিতে

জাগছে মুসলমান,

মসজিদ ঘরে তাইতো করে

আল্লাহর গুণগান।

মোদের যত দুঃখ গ্লানি

তামাম পাপের পেরেশানি,

কবুল কর মোদের দো‘আ

দাও ক্ষমা দাও দয়াল রহমান।

গফুর তুমি তুমি রহীম,

তুমি করীম তুমি রহমান,

সৃষ্টি সদা করে প্রভু

তোমার গুণগান।

মানতে যেন পারি মোরা

তোমারই ফরমান,

করতে যেন পারি তোমার গুণগান

মেনে যেন চলি সদা

তোমারই বিধান।

হে আল্লাহ! তুমি রহমান

আজকে যত পাপী তাপি,

সব গোনাহের পেতে মাফি

ভীড় করেছে তোমার ঘরে।

ওগো মেহেরবান!

কুরআন পাকের অমিয় বাণী

নিরাশ হয়ো না প্রভুর রহম হ’তে

হাদীছ মেনে চললে সদা

পাবে আখেরে আসান।

আখেরে আসান পেতে

কদর রাতের ফায়দা নিতে

জাগছে মুসলমান,

তোমার রহম দাওগো তাদের

দাওগো পরিত্রাণ।

মাহে রামাযান

মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম

জুমাইখিরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

পবিত্র মাহে রামাযান এসেছে

আবার মোদের মাঝে,

বছর পেরিয়ে ফের

এসেছে নতুন সাজে।

মিথ্যাবাদী আর রংবাজী

করেছি কত শত,

ছেড়ে দেব সেসব নিকৃষ্ট কাজ

অন্তরে ছিল যত।

দিবা-রাত্রিতে ইবাদতে মোরা

সদা মশগূল থাকিব,

কোন প্রকার শয়তানী কাজে

সময় নাহি কাটাব।

রামাযান মাসে সবাই মোরা

করব ইবাদত রাখব ছিয়াম,

চলব মোরা সরল-সোজা পথে

রাত্রি জাগব করব ক্বিয়াম।

হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে

একত্রে মোরা চলিব,

সবাইকে সালাম দিয়ে

ছিয়ামের ফযীলতের কথা বলব।

আয়রে নবীন ভাই-বোন সবে

ইসলামের পথ ধরি,

প্রভুর নিকট ক্ষমা চেয়ে

নতুন জীবন গড়ি।






আত-তাহরীক - আব্দুল্লাহ আল-মামূন, জামি‘আ দারুল হাদীছ, কাথোরা, গাযীপুর।
পথশিশু
ছেড়ে দে পাপ - মুহাম্মাদ মুমিনুল ইসলামদৌলতপুর কলেজ, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।
একতা - মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদকলেজপাড়া, বিরামপুর, দিনাজপুর।
আমাদের অপরাধ - এফ.এম. নাছরুল্লাহকাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
ধর্মের নামে - এফ.এম. নাছরুল্লাহকাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
দ্বন্দ্ব
কবিতা
ওরা মুসলিম বলে
ধর্ম, সমাজরীতির আড়ালে - এফ.এম. নাছরুল্লাহ হায়দারকাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
ইসলামের কার্বন কপি - মুহাম্মাদ মোমতায আলী খান ঝিনা, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
হায় মন! - মুহাম্মাদ আনীসুর রহমানদারিয়া, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
আরও
আরও
.