শরীরে
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কারণ হ’তে পারে নানা সমস্যার। হৃদরোগসহ নানা রোগের
অন্যতম কারণ কোলেস্টেরল। এই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে মধু এবং বাদাম
বিশেষভাবে কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাশাপাশি খেতে হবে ফল এবং সবজি।
দু’টি আলাদা গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের ব্যাপারে সচেতন হ’লে
কোলেস্টেরলজনিত সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান করা সম্ভব। মধুতে থাকা
এন্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলকে ধ্বংস করে শরীরকে সতেজ রাখে। আপেল,
কমলালেবুতেও আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যার কার্যপ্রণালী মধুর মতোই।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মধুতে থাকা
এন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। তাদের গবেষণায় ১৮ থেকে ৬৮ বছর বয়স্ক
২৫ জন পুরুষের রক্ত পাঁচ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে, ১৬ আউন্স
গ্লাসের পানির সাথে চার চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে এন্টি-অক্সিডেন্টের
মাত্রা বেড়ে গেছে। তারা বর্তমানে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখছেন নিয়মিত মধু
খাওয়া সাথেরেক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমাচ্ছে কি-না। তবে তারা এও বলেছেন, ফল ও
সবজির বদলে মধু খেলে কিন্তু চলবে না। গবেষণাটি পরিচালনাকারী ড. নিকি
ইনগেসেথ বলছেন, দেখা গেছে মধুর কিছু রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা আছে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল সার্কুলেশনে কানাডিয়ান এক গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয় সম্প্রতি। এতে দেখা গেছে, বাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যদিও আগে কোলেস্টেরল কমাতেই বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হ’ত এবং এখনও বলা হচ্ছে। দ্য এলমন্ড বোর্ড অব ক্যালিফোর্নিয়া এবং কানাডা সরকারের অর্থায়নে এ গবেষণাটি পরিচালনা করে টরেন্টোর সেন্ট মিশেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গবেষণাটিতে দেখা গেছে, বাদাম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামে আছে স্বাস্থ্যকর অসম্পৃক্ত ফ্যাট। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নিউট্রিশন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এলিস লিট্যান্সটেইন বলেছেন, আলোচ্য গবেষণায় দেখা গেছে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে মনোআনসেচুকেরডে ফ্যাট খেলে পাশাপাশি সম্পৃক্ত ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট ও কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার কম খেলে কমে আসে হৃদরোগের ঝুঁকি, কমে কোলেস্টেরলের মাত্রা।