সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসায়েন মুহাম্মাদ এরশাদ (৮৯) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...)। গত ২৭শে জুন তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয় মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ দিন সিএমএইচ-এর আইসিইউতে তাঁকে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়।

এরশাদের প্রথম জানাযা ১৪ই জুলাই বাদ যোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর ১৫ই জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০-টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাযা এবং বাদ আছর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তাঁর তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে ১৬ই জুলাই মঙ্গলবার বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে বেলা পৌনে ১২-টার দিকে তার লাশ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছায়। অতঃপর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বেলা ২টা ২৫ মিনিটে তাঁর শেষ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর বিকাল পৌনে ৬-টায় রংপুর যেলা শহরে এরশাদের বাড়ি ‘পল্লীনিবাসে’র লিচুবাগানে পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এসময় ভাই জি এম কাদের, ছেলে শাদ এরশাদ, আত্মীয়-স্বজন এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ দলের অন্যান্য নেতা-কর্মী এবং হাযার হাযার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন ও প্রেসিডেন্ট হন। অতঃপর বিরোধী দলসমূহের প্রবল আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন এবং এভাবে তাঁর ৮ বছর ৮ মাস ১২দিনের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি ১৯৩০ সালের ২০শে মার্চ কুড়িগ্রাম যেলার ফুলবাড়ী উপযেলায় নানার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল পশ্চিম বঙ্গের কুচবিহার যেলার দিনহাটা মহকুমা সদরে। তিনিই প্রথম সংবিধানে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ হিসাবে সংযোজন করেন এবং দেশে ‘উপযেলা’ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। তিনিই প্রথম শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটির প্রবর্তন করেন এবং মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকূফ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী রওশন এরশাদ ও তার পুত্র সাদ এরশাদ (৩৫) ও তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বিদিশার প্রতিবন্ধীপুত্র এরিক এরশাদ (১৮)। এছাড়া তার পালিত পুত্র আরমান (২৫) ও পালিতা কন্যা জেবিন (৩৫)। যিনি বিবাহিতা ও লন্ডন প্রবাসী।






আরও
আরও
.