পুঁজিবাদের আগ্রাসনে বিশ্বে দিনদিন বেড়েই চলেছে ধনীদের সম্পদ। আর দরিদ্ররা ক্রমশ গরীব হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের তথ্য মতে, বিশ্বের শীর্ষ ৮ জন ধনীর কাছে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তা প্রায় পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ। ধনীদের এই তালিকায় থাকাদের মধ্যে ৫ জনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে এদের একটি বড় অংশই তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। সবচেয়ে ধনী এই আট জনের মধ্যে রয়েছেন মাইক্রোসফটের বিল গেটস (যুক্তরাষ্ট্র) (৭৫ বিলিয়ন ডলার), আমানচিও ওরতেগা (স্পেন) (৬৭ বিলিয়ন ডলার), শেয়ার ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট (যুক্তরাষ্ট্র) (৬১ বিলিয়ন ডলার)। ব্যবসায়ী কার্লোস সিলম (মেক্সিকো) (৫০ বিলিয়ন ডলার)। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান জেফ বেজস (যুক্তরাষ্ট্র) (৪৫ বিলিয়ন ডলার)। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ (যুক্তরাষ্ট্র) (৪৫ বিলিয়ন ডলার)। সফটওয়্যার কোম্পানী ওরাকলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি এলিসন (যুক্তরাষ্ট্র) (৪৪ বিলিয়ন ডলার)। মাইকেল ব্লুমবার্গ (যুক্তরাষ্ট্র) (৪০ বিলিয়ন ডলার)।
দাতব্য সংস্থাটির মতে, শীর্ষ এই আট জনের হাতে যত সম্পদ রয়েছে তার পরিমাণ বিশ্বের ৩৬০ কোটি দরিদ্র মানুষের সম্পদের সমান।
[এরাই গণতন্ত্রের মুখোশে পৃথিবীর রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। অতএব গণতন্ত্র নয়, ইসলামী শাসনই কেবল অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার কায়েম করতে পারে। এদের উদ্বৃত্ত সম্পদ অবশ্যই আল্লাহর পথে ব্যয়িত হ’তে হবে। আর তখনই কেবল তা দরিদ্র মানুষের কাছে ফিরে আসবে (স.স.)]