এক দশকের মধ্যে বিশ্বে সুখের
মাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ১২ই সেপ্টেম্বর বুধবার প্রকাশিত এক
জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের
পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের
মধ্যে চাপ ও উদ্বেগ বেড়ে গেছে। সংঘাতের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ভেঙে পড়াই এর কারণ।
গ্যালাপের জনমত জরিপের বিশ্লেষকেরা বলেছেন, গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী স্থান ছিল সংঘাতপূর্ণ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র (সিএআর)। এই তালিকায় ইরাকের অবস্থান দ্বিতীয়। গবেষণা প্রবন্ধের ভূমিকা লেখক গ্যালাপের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, সমষ্টিগতভাবে বিশ্বের মানুষ আজ খুব চাপে, উদ্বেগে ও দুঃখ-বেদনায় রয়েছেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
১৪৬টি দেশের ১ লাখ ৫৪ হাযারের বেশী মানুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। আগের দিনগুলাতে কতটা চাপ, উদ্বেগ, দুঃখ-কষ্ট, রাগ বা বিষণ্ণতায় ছিলেন জরিপে এমন প্রশ্ন করা হয় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব ক্ষেত্রে ২০০৬ সালের পর বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। সাব-সাহারা আফ্রিকার ৩৫টি দেশের ২৪টিতে ১০ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে সুখের মাত্রা সবচেয়ে কম পর্যায়ে রয়েছে। এই অঞ্চলে সুখের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, গৃহযুদ্ধের ফলে অস্থির অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া এবং ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।
গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু আফ্রিকায় নয়, বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও সুখের মাত্রা এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। অর্থ-বৈভব সুখের মাত্রা বাড়ানারে ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।
[সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি আল্লাহ ভীরুতা এবং আখেরাতে জবাবদিহিতার অনুভূতি সৃষ্টি ব্যতীত এ সমস্যার কোন সমাধান নেই। অতএব জান্নাতে সুখ পাওয়ার উদ্দেশ্যেই সকল প্রচেষ্টা নিয়োজিত করা আবশ্যক (স.স.)]