দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে করুণ সুরে প্রার্থনা,
নিঃস্ব ও গরীব মোরা চরণ তলে থাকবো না।
পায়ের নীচে মাড়িয়ে যাওয়া নিষ্পেষিত তাদের শির,
তোমার কাছে ভিক্ষা মাগে মোছাও তাদের চক্ষু নীর।
লক্ষ যুগের পুঞ্ছীভূত ব্যথায় ভরা বুকখানা,
এক জাগাতে জমাট বেঁধে জানায় আজি প্রার্থনা।
কবুল তুমি নাও করে নাও বিশ্বপালক হে আল্লাহ!
গরীবকে দাও সব অধিকার আর তাকে দাও শ্রেষ্ঠতা।
পেট ভরে ভাত যাদের ভাগ্যে জুটছে না একটি দিন,
রুক্ষ মাথা শুষ্ক তনু অনটনের সঠিক চিন।
নাঙ্গা চরণ ভাঙ্গা দেহ ছিন্ন বস্ত্র আদুল গা,
হাড়ভাঙ্গা ঐ খাটুনী খেটেও খাচ্ছে যারা বেতের ঘা।
ঊর্ধ্ব লোকের পালতে আদেশ রয় না কভু গরহাযির,
একটু খানি দয়ার আশায় ফেলছে যারা চক্ষু নীর।
উপরে যারা রয় বসে আর হুকুম চালায় রাত্রি-দিন,
তাদের আদেশ পালতে যারা দিন-রজনী হচ্ছে লীন।
শ্রমে যারা তুলছে ফসল ঘাম ঝরা ঐ খাটুনীতে,
পায় না তারা ভোগ বিলাসের খাবার থালার চাটনীতে।
ক্ষুধার জ্বালায় বিষ্ঠা যারা বইছে কাঁধে ধনিকদের,
এক মুঠো ভাত ঘরের কোণায় সঞ্চিতও নাই যাদের।
জীবনটা ভর কাটল যাদের বলতে শুধু ‘জী’ হুযুর,
সুখের আশা? নাই ভরসা, দিক দিগন্ত বহু দূর।
লক্ষ টাকার মালিক যারা তাদের টাকার এক সিকা,
দিন-রজনী পরায় যাদের কান্না-হাসির জয় টিকা।
অর্থাভাবে বিদ্যা-বুদ্ধি নাই মোটে তাই সব হারা,
মানবতা সভ্যতা নাই হারায় শেষে দ্বীন তারা।
তাদের তুমি নাও তুলে নাও কাছে তোমার হে আল্লাহ!
সব খানেতে তাদের তুমি দান করো গো শ্রেষ্ঠতা।