বগুড়ায় অবস্থিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর এই কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে ১৫টি মসলার ৩৪টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। মসলার এই উচ্চ ফলনশীল জাত এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা চাষাবাদও করছে। মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরো ৮৪টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। অন্যদিকে পুনরায় নতুন জাত অবমুক্তির জন্য বিজ্ঞানীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আরো ১২টি মসলা অগ্রবর্তী লাইনে রয়েছে। মসলা গবেষণা কেন্দ্রে বর্তমানে বিভিন্ন মসলা ফসলের ২৪২টি দেশী এবং ১৫টি বিদেশী জার্মপ্লাজম সংগৃহীত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশের মসলা জাতীয় খাদ্যপণ্যের চাহিদা পূরণ ও বিদেশ থেকে মসলা আমদানী কমানোর লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপযেলার রায়নগর ইউনিয়নে এবং ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের অদূরে ৭০ একর জমির উপর মসলা গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে দেশে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন ছিল ৩.১৩ লাখ টন। প্রতিষ্ঠার পর গত ২ যুগে গবেষণা কেন্দ্রে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের ফলে বর্তমানে উৎপাদন ২৪.৮৮ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।