স্বদেশ

নাস্তিক্যবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঢাকায় ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ

গত ৬ই এপ্রিল হাটহাজারী মাদরাসা কেন্দ্রিক ধর্মীয় সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক লংমার্চ কর্মসূচীর আয়োজন করে। সরকারী বাধার কারণে একদিন পূর্বে সারাদেশ থেকে রাজধানীমুখী সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হলেও রাজধানী ঢাকা ও ঢাকাসংলগ্ন যেলা সমূহ থেকে মিছিল নিয়ে পায়ে হেঁটে আগত লাখো জনতার পদভারে সমগ্র ঢাকা শহর প্রকম্পিত হয়ে উঠে। সরকারী এত বাধার মুখেও শেষ পর্যন্ত কিভাবে এ কর্মসূচী পালিত হয় তা দেখার জন্য সারাদেশের মানুষের চোখ নিবদ্ধ ছিল টিভির পর্দায়। ফলে প্রকারান্তরে এই লংমার্চ কর্মসূচী দলমত নির্বিশেষে এক অভিন্ন জাতীয় কর্মসূচীতে রূপ নেয়। অনুষ্ঠানস্থল ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বরে সমাবেত হয় প্রায় ১৫-২০ লক্ষ মানুষ। ১৯৮১ সালে নিহত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাযার পর এই প্রথম রাজধানী ঢাকার বুকে এত মানুষের সমাবেশ দেখা গেল। কর্মসূচীর প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের প্রতি সাধারণ জনগণ যেভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তা সত্যিই এক অভূতপূর্ব আবেগময় দৃশ্যের অবতারণা করে। স্বাধীনতার পর কোন জাতীয় কর্মসূচী এভাবে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে দিতে পারেনি। বস্ত্তত: সম্প্রতি ইন্টারনেটে ইসলাম এবং রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি নাস্তিক্যবাদীদের অত্যন্ত নোংরা ও কদর্যপূর্ণ আক্রমণের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনসমাজে যে ক্ষোভ ও রোষের আগুন ধূমায়িত হচ্ছিল, তাই গণবিস্ফোরণ হয়ে আত্মপ্রকাশ করে শাপলা চত্বরে। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ সেখানে সমবেত হয়েছিলেন।

গণমানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত মহাসমাবেশের দৃশ্য দেখে আক্ষরিকভাবেই আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে সরকার। কেননা এই বিপুল জনতা উদ্যোগ গ্রহণ করলে সেদিনই সরকারের পতন ঘন্টা বেজে যেতে পারত। একই সাথে মিইয়ে যায় গত ২ মাস যাবৎ দেশ-বিদেশ তোলপাড় করে ফেলা মিডিয়া টাইকুনদের একচেটিয়া সমর্থনপুষ্ঠ তথাকথিত শাহবাগের জাগরণ। শাহবাগের ধর্মনিরপেক্ষ ধারার আন্দোলনকে সারাদেশের মানুষের চেতনার আন্দোলন বলে প্রমাণ করার যে সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল দেশের প্রায় সকল মিডিয়া, তা এক নিমিষেই প্রায় নস্যাৎ হয়ে যায় ৬ই এপ্রিলের ধর্মীয় ভাবাবেগ উজ্জীবিত এই ঐতিহাসিক গণজোয়ারের মাধ্যমে। এই সম্মেলন থেকে ‘হেফাজতে ইসলাম’ ১৩ দফা দাবী সরকারের কাছে পেশ করে। যা মুহূর্তেই মিডিয়াসহ সারাদেশের মানুষের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

উক্ত ১৩ দফা দাবী হ’ল : (১) সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কুরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল। (২) আল্লাহ, রাসূল (ছাঃ) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস। (৩) কথিত শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয়নবী (ছাঃ)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা। (৪) ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সকলপ্রকার বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। (৫) ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা। (৬) সরকারীভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। (৭) মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা। (৮) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লীদের নির্বিঘ্নে ছালাত আদায়ে বাধাবিপত্তি ও  প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নছীহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা। (৯) রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিচয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা। (১০) পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারীগুলোর ধর্মান্তরকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। (১১) রাসূলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা। (১২) সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতীবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা। (১৩) অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

উল্লেখ্য যে, এই ১৩ দফা দাবী বাস্তবায়নে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যেলাভিত্তিক কয়েকটি মহাসমাবেশ করার পর আগামী ৫ই মে পুনরায় ঢাকা অবরোধের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

[বস্ত্ততঃ গত কয়েকবছরে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও কিছু রাম ও বামপন্থী মন্ত্রী-এমপিদের উসকানীতে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নাস্তিক্যবাদের বিস্তৃতি ঘটে। এমনকি ইসলাম ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে যেন অঘোষিত যুদ্ধ শুরু হয়। যা সাধারণ মানুষের ঈমানে দারুণভাবে ধাক্কা দেয়। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই মহা সমাবেশে ঈমানী বিস্ফোরণ হিসাবে। আগামীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা নাস্তিক্যবাদী ও তাদের দোসরদের হাত থেকে প্রকৃত ঈমানদারদের হাতে আসুক- আল্লাহর নিকটে আমরা সেই প্রার্থনা করি (স.স.)]

বাংলাদেশে আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম এর সন্ধান লাভ

গত দুই দশক ধরেই জোর গুঞ্জন ছিল, বাংলাদেশের মাটিতে উত্তোলনযোগ্য ইউরেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনটি সত্যি হয়ে ধরা দিল বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) এর রিপোর্টে। দেশের বৃহত্তম তিন নদী পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনায় এবং সিলেট বিভাগ ও ময়মনসিংহে নদীবাহিত বালুতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম রয়েছে বলে জানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সেখানে সবচেয়ে দামি খনিজ প্লাটিনাম রয়েছে বলেও শোনা গেছে। তবে সরাসরি নয়, এই ইউরেনিয়াম বাণিজ্যিকভাবে আহরণের পর বিশ্ববাজারে বিক্রি করা যাবে।

[আল্লাহর রহমত এভাবেই প্রকাশ্য ও গোপনে সর্বত্র পূর্ণ হয়ে রয়েছে বান্দার ভোগের জন্য। প্রয়োজন সেগুলোর যথাযথ আহরণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে ব্যয় করা। এতে মানুষ যদি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, তাহলে আল্লাহ আরও বেশী বেশী দান করবেন (স.স.)]

বিদেশ

বিশ্বব্যাংকের চ্যালেঞ্জ হয়ে আসছে নতুন ব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের চ্যালেঞ্জ হয়ে শুরু হ’তে যাচ্ছে একটি নতুন আন্তর্জাতিক ব্যাংক। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে বিশ্বের পাঁচ উদীয়মান পরাশক্তি ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও সাউথ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক জোট ব্রিকসের সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিকসের প্রস্তাবিত ব্যাংকটি কাজ করবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামোগত অর্থায়নের ক্ষেত্রে। যা হবে দীর্ঘ সাত দশক ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যাংকের আধিপত্যের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র ১০ হাযার কোটি ডলার দিয়ে একটি তহবিল গঠন করবে। তারল্যসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবেলায় এবং বাণিজ্যে উৎসাহ দিতে এ তহবিল ব্যবহার করা হবে।

 অস্ট্রেলিয়াতেও নারীরা নিরাপদ নয়

অস্ট্রেলিয়ার মতো সভ্যতাগর্বী দেশেও নারীরা নিরাপদ নয়। নানাভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে তারা। ধর্ষণ-নির্যাতন চলছে হরদম। ঘরে-বাইরে মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নিত্যদিনের ঘটনা। সে দেশের ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস এক জরিপ চালিয়ে দেখেছে দেশময় নীরবে চলছে ভয়াবহ নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন। শারীরিক নির্যাতন মুখ বুঁজে সহ্য করতে হচেছ নারীদের। এ ধরনের নির্যাতনের এক-তৃতীয়াংশই হয় বাড়িতে। বিয়ে করলে বিবাহিত জীবনে নারীদের অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা বলতে তেমন কিছু থাকে না। সন্তান হলে অস্ট্রেলিয়ার অনেক মেয়েও ছেড়ে দেয় চাকরী। তারপরই শুরু হয় বিপদ। বিয়ে না করলেও রেহাই নেই। বয়ফ্রেন্ড বা পার্টনারের সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গেলেই খুলে ফেলে মুখোশ। চলে অকথ্য নির্যাতন। জরিপ সংস্থা আইভিএডাব্লিউএস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় অবিবাহিত নারীরাও সাবেক বা বর্তমান ছেলে বন্ধু বা সঙ্গীর কাছে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ। উল্লেখ্য যে, জনসংখ্যা বিবেচনায় নারী ধর্ষণে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

সাড়ে ৫ হাযার ইরাকী বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে   মোসাদ ও সিআইএ

২০০৩ সালে ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন দখলদারিত্বের পর থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ইহুদীবাদী ইসরাঈলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সাড়ে পাঁচ হাযারেরও বেশি ইরাকী বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। ইরানের আরবীভাষী টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘আল-আলম’-এর বরাতে এ তথ্য উঠে এসেছে। মোসাদ ইরাকের বিজ্ঞানী, গবেষক, চিন্তাবিদ, চিকিৎসক ও বিশেষ করে পরমাণু ও রাসায়নিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের হত্যার জন্য এই মুসলিম দেশটিতে গোপনে বহু ঘাতক চক্র পাঠিয়েছিল। আর সিআইএ ইরাকের ওই বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের হত্যার ফাঁদ পাতার জন্য তাদেরকে নানা লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ধোঁকা দিত। যেমন, তাদেরকে আমেরিকায় চাকরীর জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হ’ত এবং প্রস্তাবে তাদের জীবনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হ’ত। যেসব বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞ এইসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতেন তাদের পেছনে ঘাতক লেলিয়ে দেয়া হ’ত এবং পর্যায়ক্রমে তাদের হত্যা করা হ’ত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকী বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হত্যায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে খোদ ইরাকেরই একদল ঘাতক, যারা বিদেশীদের নির্দেশে স্বদেশের ওই অমূল্য মানব-সম্পদ বিনাশ করেছে।

হাসপাতালের বিছানা খালি করতে ৩শ’ রোগী হত্যা

হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বিছানা খালি করতে ৭ জন রোগীকে হত্যা করেছে এক ব্রাজিলিয়ান চিকিৎসক। শুধু তাই নয় হাসপাতালের কাগজপত্র বলছে, অন্তত আরো ৩শ’ রোগীর মৃত্যুর পেছনেও অভিযুক্ত চিকিৎসকের হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রাজিলের পারানা প্রদেশের প্রধান শহর কিউরিতিবা’র ইভান্জেলিকাল হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক ডা. ভার্জিনিয়া সোয়ারেজ দ্য সুজা ও তার চিকিৎসক দল এসব রোগীকে পেশীর শক্তিহানিকর এক ধরনের ঔষধ সেবন করাতেন। তারপর তাদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিতেন। ফলে শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা যেত ওই সব রোগী! অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫৬ বছর বয়সী নারী ডাক্তার সুজা গত মাসে গ্রেফতার হয়। এখন পর্যন্ত ৭ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া তদন্ত চলছে আরও ৩০০টি মৃত্যুর ঘটনার। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম বলছে, যদি তদন্ত কর্মকর্তারা প্রমাণ করতে পারেন সুজা এই ৩০০ রোগীকে হত্যা করেছেন, তবে এটা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলিং হিসেবে এ নির্মম রেকর্ড গড়বে।

৭ বছর বয়সে শল্য চিকিৎসক!

আশ্চর্যতম ক্ষুদে চিকিৎসক আকৃত জাসওয়াল ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থী। তাই তাকে বিস্ময়বালক ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্টেস্ট শিশু আকৃতের আইকিউ ১৯৪, যা সাধারণ মানুষ থেকে তাকে আলাদা করেছে। কারণ যাদের আইকিউ ১২০-১৪৪ তাদের ধরা হয় এক্সেপশনাল। আর ১ থেকে ২০ মধ্যে যাদের স্কোর তাদের আইকিউ খুবই কম। আকৃতকে বলা হয় বিশ্বের আশ্চর্যতম ক্ষুদে শল্য চিকিৎসক। আকৃত ২০০০ সালে তার বাড়িতে প্রথম নিজেই এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে তিনি আগুনে পোড়া একটি গরীব মেয়ের হাত তার নিজস্ব চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ঠিক করে দেন। ১২ বছর বয়সে তার বিস্ময়কর বুদ্ধিমত্তা এবং ওষুধের উপর দক্ষতা সবার নযর কাড়ে। তাকে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশনও দেওয়া হয়। তিনি দাবী করেন যে, তিনি ক্যান্সার নিরাময় ঔষধ আবিষ্কারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। আকৃত ভবিষ্যতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে চান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ফলিত রসায়ন বিষয়ে মাস্টার্স করা শুরু করেন।

[আল্লাহকে সকল ক্ষমতার মালিক এটা তারই এক নিদর্শন। বান্দার কল্যাণে তিনি এভাবে মাঝে-মধ্যে তাঁর বিশেষ রহমত প্রদর্শন করেন (স.স.)]

ব্রিটেনের ৭০ শতাংশ মানুষ দেশটির গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করে না

ব্রিটেনের ৭০% মানুষ দেশটির গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করে না। তারা মনে করেন, সংবাদ মাধ্যমগুলো সত্য খবর প্রকাশের চেয়ে মুনাফা অর্জনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাত্র ২১ শতাংশ বলেছেন তারা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের সত্যনিষ্ঠ বলে মনে করেন। ব্রিটেনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক টনি গোসলিং এ জরিপের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন যে, অধিকাংশ ধনকুবের ব্যক্তি তাদের নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করতে চান। তাই এক্ষেত্রে তারাই মূল আসামী।

[বাংলাদেশের অবস্থাও তার চেয়ে খুব উন্নত নয় (স.স.)]






অস্ত্র নির্মাতাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতেই পেন্টাগনের প্রধানরা যুদ্ধ করেন : ট্রাম্প
হিফয প্রতিযোগিতায় ১১১টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানের অধিকারী বাংলাদেশের ‘তাকরীম’
মাত্র ৪২ দিনে বুখারী শরীফ হেফয : বাংলাদেশী হাফেযের বিরল কৃতিত্ব
আবহাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের প্রায় দুই কোটি শিশু
জন্মান্ধ শিক্ষক ইয়াহইয়া ছড়াচ্ছেন কুরআনের আলো
দেশে দারিদ্রে্যর হার ২১ দশমিক ৮%
সরকারী চাকরীতে কোটা পদ্ধতি বাতিল
এভারেস্ট থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মৃতদেহ
সময়ের আগেই উৎপাদনে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা
ওয়ায মাহফিলে রেফারেন্স বাধ্যতামূলক চেয়ে আইনী নোটিশ
উড়োজাহায বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর আমাজন জঙ্গল থেকে ৪ শিশুকে জীবিত উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণ সম্পর্কের অবনতি
আরও
আরও
.