রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপরে নির্যাতনের ইতিহাস অত্যন্ত ভয়াবহ, লোমহর্ষক, সর্বাধিক বেদনার ও চরম নিষ্ঠুরতার। এ ইতিহাস বিগত সকল নির্যাতন-নিপীড়নের রেকর্ড ভঙ্গের ইতিহাস। দূর অতীতের যালেম শাসক ফির‘আউন, নমরূদের নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে রক্তচোষা অংসানসুচির সরকার। হাযার হাযার মুসলিম নর-নারীকে যবাই করে হত্যা, গ্রামের পর গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে ভষ্মিভূত করা, নারীদের উপর বর্বরোচিত পাশবিক নির্যাতন, জীবন্ত মানুষকে জলন্ত আগুনে ফেলে দিয়ে মর্মান্তিকভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা, সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে উল্লাসে মত্ত হওয়া এবং একপর্যায়ে তাকে হত্যা করা, এমনকি জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়া নিরীহ মানুষগুলোকে পিছন থেকে গুলি অথবা কুপিয়ে হত্যার মত পৈশাচিক ও শাসরুদ্ধকর ঘটনা এখন আরাকান জনপদের নিত্যদিনের ঘটনা।
গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ইতিহাসের বর্বরোচিত নির্যাতন শুরু হ’লে হাযার হাযার নিরীহ মুসলিম নর-নারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেক-বার্মার সীমান্তবর্তী নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার যেলার টেকনাফে আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে সেখানে ত্রাণ কর্মসূচী শুরু হয়, যা অদ্যাবধি চলমান আছে। ফালিল্লাহিল হাম্দ।
সম্প্রতি গত ২৪ শে আগষ্ট হ’তে নতুন করে সহিংসতা শুরু হ’লে ঘটনার তীব্রতা ও রূঢ় বস্তবতায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী আরও জোরদার করা হয়। এ উপলক্ষে গত ৮ ও ৯ই সেপ্টেম্বর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যেলার টেকনাফ ও উখিয়া সফর করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে আমীরে জামা‘আতের সফরসঙ্গী হওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। আলোচ্য নিবন্ধে পাঠকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্তভাবে উক্ত সফরের সরেযমীন প্রতিবেদন তুলে ধরা হ’ল।-
৮ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার: আগের দিন রাজশাহী হ’তে ঢাকা অতঃপর ঢাকা থেকে অদ্য বেলা সাড়ে ১১-টায় কক্সবাজার পৌঁছে নগরীর পাহাড়তলী আহলেহাদীছ জামে মসজিদে জুম‘আর ছালাত আদায় করলাম। যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফারেগ মাওলানা নাজমুল হকের নিজস্ব তত্তাবধানে তাঁর বাড়ী সংলগ্ন নব নির্মিত এই পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের এক তলা সম্পন্ন মসজিদটিই কক্সবাজার শহরের প্রথম কোন পূর্ণাঙ্গ আহলেহাদীছ জামে মসজিদ। এই মসজিদটিই এখন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর বিভিন্ন কর্মসূচীর কেন্দ্রবিন্দু। আমীরে জামা‘আত প্রথমবারের মত এখানে খুৎবা দিলেন। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক মুছল্লী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উখিয়া, টেকনাফ এবং চকরিয়া ও সাতকানিয়া থেকেও ‘আন্দোলন’-এর কর্মী ও সুধীজন আমীরে জামা‘আতের খুৎবা শুনার জন্য জুম‘আয় উপস্থিত হন। জুম‘আর ছালাত শেষে যেলা সভাপতির বাসায় দুপুরের আতিথেয়তা গ্রহণ সম্পন্ন হ’ল।
অপরদিকে যেলা সেক্রেটারী মুজীবর রহমান ভাইয়ের নেতৃত্বে তার বাসায় চলতে থাকে ত্রাণের প্যাকেট তৈরির কাজ। অনেক রাত পর্যন্ত কর্মীরা প্যাকেট তৈরীতে ব্যস্ত থাকেন। ২০টি আইটেমের প্যাকেট, তাই সময় লাগে প্রচুর। আইটেম গুলোও আগত শরণার্থীদের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। অতঃপর পূর্বে কৃত শিডিউল অনুযায়ী বাদ এশা পাহাড়তলী আহলেহাদীছ জামে মসজিদে সুধী সমাবেশ শেষে যেলা ‘আন্দোলন’-এর অর্থ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরীদ আহমাদের আমন্ত্রণে তার বাসায় রাতের আতিথেয়তা গ্রহণ শেষে হোটেলে ফিরে আসলাম।
৯ই সেপ্টেম্বর শনিবার: সকাল সাড়ে ৮-টায় বের হওয়ার কথা থাকলেও ট্রাক লোড করতে বেশ সময় লেগে গেল। ফলে সোয়া ১০-টায় যাত্রা শুরু হ’ল। গন্তব্য উখিয়া ও টেকনাফ। ২টি মাইক্রো ও ত্রাণ ভর্তি ১টি ট্রাক। সাথে নগদ টাকা নেওয়া হ’ল শরণার্থীদের জন্য। উখিয়া কলেজের পর থেকেই রাস্তার দু’ধারে খোলা আকাশের নীচে রোহিঙ্গাদের দেখা গেল। সামনেই কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প। আশপাশে অগণিত মানুষের ভীড়। গাড়ি এগিয়ে চলল হোয়াইক্যং বাযারের দিকে। পরের দৃশ্য আরও বেদনাবিধুর। যতই এগিয়ে যাচ্ছি ততই সদ্য আগত রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষের স্রোত। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নীচে কাদামাটিতে হাযার হাযার নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর দাঁড়িয়ে আছে। যাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে কোনরকমে ১২/১৪ ফুটের একটি পলিথিন টাঙ্গিয়ে তার নীচে পরিজন নিয়ে অবস্থান নিয়েছে, আর অপলক নেত্রে তাকিয়ে আছে কিছু প্রাপ্তির আশায়। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে শুধুই পলিথিনের ছাউনি ছোখে পড়ছে। ঠিক হজের সময়ে মিনা প্রান্তরের তাঁবুর মত। কেউ পাহাড় কেটে কিছুটা সমতল করে সেখানে ঘর বাঁধার কোশেশ করছে। কেউ পাহাড়ের পাদদেশে অথবা যে যেখানে পারছে অন্তত বসার একটু ব্যবস্থা করার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। সাথীদের কাছে শুনতে পেলাম এক ফালি পলিথিন কিনতেই লাগছে ২/৩ শত টাকা। সেই সাথে লাগছে ২/৩টি বাঁশ। এইটুকু জোগাড়ে সামর্থবানরাই এভাবে ছাউনি দিয়ে কোনরকমে মাথা গুঁজার ব্যবস্থা করতে পারছে। এর বাইরে হাযার হাযার রোহিঙ্গা রাস্তা-ঘাটে পথে-প্রান্তরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সবচাইতে মর্মান্তিক হচ্ছে শিশু-কিশোরদের অবস্থা। এদের দূরবস্থা দেখে কারও চোখে পানি না এসে পারে না। অনাহারে-অর্ধাহারে, অযত্নে এদের জীবন একবারেই বিপন্ন। চোখে মুখে শুধুই শঙ্কার ছাপ।
আমরা আমাদের নির্ধারিত গন্তব্য হোয়াইক্যং বাযারের দিকে এগিয়ে চললাম। সেখানে সদ্য আগত রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বেলা পৌনে ১-টায় সেখানে পৌঁছে নির্যাতিত রেহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর পূর্বে কৃত তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হ’ল। এসময়ে আমীরে জামা‘আত আবেগাপ্লুত ও ওজস্বিনী ভাষায় বিশ্বনেতৃবৃন্দের নিকটে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আহবান জানান।
কাঁদালেন যিনি : হোয়াইক্যংয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে আমীরে জামা‘আত রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে একজনের তেলাওয়াত শুনতে চাইলেন। শঙ্কিত বদনে সামনে আসলেন মাওলানা মুহাম্মাদ আইয়াস, যিনি আরাকানের মংডু থানাধীন তেহেরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব। সুললিত কণ্ঠে শুনালেন কুরআন তেলাওয়াত। ৭ সদস্যের পরিবারের ৫ জনকে হারিয়ে বেঁচে থাকা একমাত্র শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে তিনি এদেশে পালিয়ে এসেছেন। এরপর আমীরে জামা‘আতের আহবানে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের পক্ষ থেকে কথা বলতে আসলেন সে দেশের মংডু থানার মেরুল্লা গ্রামের বশীর আহমাদ। স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষায় বর্মী সেনা ও মগ দস্যুদের বর্বরোচিত নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার অঝোর কান্না ও করুণ বিবরণ শুনে উপস্থিত সকলের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে গেল। তিনি বললেন, ‘আমাদের গ্রামে ৭ হাযার পরিবারে ২৩ হাযার লোকের বাস ছিল। বর্মী সেনারা ৩ সহস্রাধিক মানুষকে গুলি করে ও যবাই করে হত্যা করেছে। মা-বোনদের উপর চালিয়েছে অবর্ণনীয় পাশবিক নির্যাতন। ফলে আমরা গ্রাম খালি করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসি। এদেশে যখন পৌঁছি তখন আমাদের দেহে পোষাক ছিল না। পেটে খাদ্য ছিল না। বাংলাদেশী ভাইদের সাহায্যে আমরা সব পেয়েছি। এদেশের ভাই-বোনদের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন’।
লম্বা বিল পয়েন্ট: হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফের দিকে কিছুদূর যাওয়ার পর ‘লম্বা বিল’ পয়েন্ট। এই পথে নাফ নদী কিছুটা সরু হওয়ায় অনেক শরণার্থী এই পথটিকে বেছে নেয়। ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে কিছুদিন যাবত এই পথে আগত রোহিঙ্গাদের হাতে নগদ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। আমীরে জামা‘আত এখানে কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে নাফ নদী পেরিয়ে সদ্য আগতদের সারির মাঝে পরিবার ও ব্যক্তি বুঝে ৫০০, ১০০০ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। অতঃপর টেকনাফের ডা. নূরুল ইসলাম যিনি ইতিমধ্যে ২০ কপি ‘আত-তাহরীকে’র এজেন্ট তার বাসায় দুপুরের খাবার গ্রহণ করি। অতঃপর সন্ধ্যার কিছু পূর্বে বিদায় হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে রাত ৮-টার দিকে কক্সবাজার ফিরে আসি। ফেরার পথে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। কক্সবাজার পৌঁছে ‘আন্দোলন’-এর সুধী এ্যাডভোকেট ছিদ্দীকুর রহমানের বাসায় রাতের খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী শেষ হয়।
১০ই সেপ্টেম্বর রবিবার: পূর্ব শিডিউল অনুযায়ী আজ চট্টগ্রামে সুধী সমাবেশ ও যেলা কমিটি পুনর্গঠন। আমীরে জামা‘আত সহ দু’জনের বাসের টিকেটও কাটা হয়েছে আগেই। কিন্তু মনকে বুঝাতে পারছি না। আরও দু’একদিন অসহায় এই মানুষগুলোকে সেবা দিতে পারলে হয়তো কিছুটা তৃপ্তি পেতাম। আমীরে জামা‘আতের নিকটে অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দিলেন। অতঃপর থেকে গেলাম। এদিকে সুধী সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট শফীউল ইসলামকে সাথে নিয়ে আমীরে জামা‘আত সকাল সাড়ে ৯-টার বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
‘আন্দোলন’-এর যেলা দায়িত্বশীলদের নিয়ে রওয়ানা হ’লাম টেকনাফের উদ্দেশ্যে। গতদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোটগুলোকে ১০০ টাকার নোটে রূপান্তরের জন্য শহরের সিটি ব্যাংকে গেলাম। সেখানে কর্মরত আবুল কালাম আযাদ ভাই সব ব্যবস্থা করে দিলেন এবং ম্যানেজারের নিকট থেকে ছুটি নিয়ে তিনি নিজেও আমাদের সাথী হ’লেন। টাকা খুচরা করা হ’ল এ জন্য যে, রোহিঙ্গারা এদেশের টাকার মান বুঝে না। সেকারণ অনেকে প্রতারক চক্রের হাতে পড়তে পারে। তাছাড়া ছোটখাট জিনিস কিনতে গেলে বড় নোট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। সেকারণ পরিমাণ যাই দেওয়া হোক, নোট ছোট হওয়া ভাল। যদিও দাতাদের জন্য এটি কিছুটা কষ্টের। এসময়ে ব্যাংকে দেখা হ’ল দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বড় ভাই দিদারুল ইসলামের সাথে। গতকাল তারা গিয়েছিলেন টেকনাফের থাইংখালী, পালংখালী ও উলুবুনিয়া পয়েন্টে। সীমান্তের একেবারে সন্নিকটে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান সারিবদ্ধ লাশ। কারো পিছনে গুলি, কারো মাথায়। কারো চাপাতির কোপে মস্তক দ্বিখন্ডিত হয়ে মগজ বের হয়ে আছে। তিনি একটি ভিডিও চিত্র দেখালেন। যা দ্বিতীয় বার দেখা অসম্ভব।
এরপর সাথীদের নিয়ে আগের দিনের ন্যায় উখিয়া- টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্টে দিনব্যাপী নগদ অর্থ ও কিছু খাদ্যবস্ত্ত বিতরণ করা হ’ল। বিশেষ করে হোয়াইক্যং বাযার থেকে টেকনাফের দিকে কিছু দূর গিয়ে তুলাতুলি নামক স্থানে দাঁড়িয়ে পিকআপ, ট্রাক, অটো, সিএনজি যোগে সীমান্ত হ’তে ক্যাম্পের দিকে আগত রোহিঙ্গাদের মধ্যে গাড়ী দাঁড় করিয়ে নগদ অর্থ ও খাবার বিতরণ করা হ’ল। এভাবে দিনের কর্মসূচী শেষে সন্ধ্যা ৭-টায় কক্সবাজার পৌঁছে রাত সাড়ে ৮-টার বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে রাত ১-টায় সেখানে পৌঁছি। অতঃপর চারদিনের সফর শেষে পরদিন ১১ই সেপ্টেম্বর সোমবার আমীরে জামা‘আতের সাথে চট্টগ্রাম হ’তে ঢাকা, অতঃপর ঢাকা হ’তে রাজশাহী ফিরে আসি। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।