
আমীরে জামা‘আতের ১ম রাতের ভাষণ
‘বিশ্বশান্তির উপায়’ শীর্ষক আলোচনায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, আল্লাহপাক শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে বিশ্বশান্তির দূত হিসাবে পাঠিয়েছিলেন (আম্বিয়া ২১/১০৭)। অথচ তাঁকে সর্বদা অশান্তির নায়কদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হ’তে হয়েছে। তিনি প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা সমূহের সাথে আপোষ করেননি। বরং মানুষের সার্বিক জীবনকে আল্লাহর অহি-র আলোকে ঢেলে সাজানোর ব্রত নিয়ে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। যেহেতু তিনি শেষনবী ছিলেন এবং যেহেতু তাঁর মাধ্যমেই ইসলাম পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেছে, সেহেতু আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাঁর ইমারতের অধীনে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় জামা‘আতবদ্ধ ঈমানদারগণের মাধ্যমে মদীনাতে ইসলামের সার্বিক বিজয় সম্পন্ন হয়। যা পরবর্তীতে বিশ্ব বিজয়ের সূচনা করে। আজও সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর রেখে যাওয়া আদর্শ ও তরীকার সনিষ্ঠ অনুসরণ অপরিহার্য। এর বাইরে বিশ্বশান্তির বিকল্প কোন রাস্তা নেই। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সে পথেই পরিচালিত এবং সে পথেই মানুষকে সংঘবদ্ধ করে।
২য় রাতের ভাষণ
‘আহলেহাদীছ আন্দোলনের পরিচয়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি জনগণকে আল্লাহর রজ্জু পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্ম কেন্দ্রে সমবেত হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সামাজিক ঐক্য ও সংহতির জন্য আল্লাহ প্রেরিত একমাত্র মানদন্ড হ’ল হাবলুল্লাহ তথা কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ। যখনই মানুষ ‘হাবলুল্লাহ’ বাদ দিয়ে আব্দুল্লাহদের পূজা করবে, তখনই সমাজ বিভক্ত হবে এবং শয়তান বিজয়ী হবে। তিনি ইসলামের প্রথম যুগ থেকে মুসলিম উম্মাহর ভাঙন চিত্র সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অতঃপর তা দূরীকরণে যুগে যুগে আহলেহাদীছ আন্দোলনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলনের মাধ্যমেই কেবল উম্মত ঐক্যবদ্ধ হ’তে পারে। এমনকি এই আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। যা অন্য কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সমাজের বিভিন্ন স্তরে সত্যিকার অর্থে নিবেদিত প্রাণ জামা‘আতবদ্ধ একদল প্রকৃত আহলেহাদীছ কর্মীর। অতএব আসুন! আমরা আমাদের সমাজকে শান্তির সমাজে পরিণত করার প্রচেষ্টায় জামা‘আতবদ্ধ হই।