ধর্ষণকারীদের
‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করার দাবী জানিয়েছেন সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল
জাতীয় পার্টির কয়েকজন এমপি। গত ১৪ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদে তারা এ দাবী
জানান।
ধর্ষণ নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনার সূত্রপাত করেন জাপার মুজিবুল হক। তিনি বলেন, যে হারে ধর্ষণ বেড়েছে, সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে তা কন্ট্রোল হচ্ছে না। অনুরোধ থাকবে ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করার।
তারপর জাপার আরেক এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে সমাজকে ধর্ষণমুক্ত করতে হ’লে ধর্ষককে গুলি করে মারতে হবে। একমাত্র ওষুধ পুলিশ ধরার পর ধর্ষককে গুলি করে মেরে ফেলা’। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে ধর্ষণ মহামারীর রূপ নিয়েছে। ছাত্রী, শিশু, নারী শ্রমিক, প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। অথচ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার হয় ১৫ থেকে ২০ বছর পর। ফলে মানুষ এটা মনে রাখে না। শাজনীন হত্যার পর ১৬ বছর লেগেছে সেই একটি বিচার করতে। শাজনীনের পিতা দেশের স্বনামধন্য একজন শিল্পপতি হওয়া সত্বেও তাঁর মেয়ের বিচার পেতে ১৬ বছর পার করছেন। ফলাফল হ’ল- মাত্র একজনের ফাঁসি হয়েছে।
গুলি করে মারার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, ধামরাইয়ে বাসে ধর্ষণ করে হত্যা করা হ’ল। বাসের চালককে গ্রেপ্তার করা হ’ল। কী বিচার হবে? কোন সাক্ষী নেই। এখন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে। যখন মামলায় যাবে, সাক্ষী থাকবে না। তাহ’লে কী করতে হবে?
তিনি বলেন, এভাবেই একসময় ধর্ষকরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাবে, কেউ খবরও রাখবে না। এমনকি কারও যদি ফাঁসিও হয়, সে বিষয়েও কেউ খবর রাখে না।
জাপার দুই এমপির বক্তব্যে সমর্থন জানান সরকারী দলের প্রবীণ এমপি তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতে একজন ডাক্তার মেয়েকে চারজন পুরুষ ধষর্ণ করার দুদিন পর ক্রসফায়ারে তাদের হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ভারতে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, এখানে দরকার কঠোর আইন করা। কারণ যে এই কাজ করেছে, তার আর এই পৃথিবীতে বেচে থাকার কোন অধিকার নেই।
[ধন্যবাদ! একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজী। অবশেষে সেক্যুলারদের মুখ দিয়ে ইসলামী স্বভাবধর্ম। তাকে মেনে নিলেই সমাজ সুন্দর হবে। এর বাইরে কোন আইনেই সমাজে শান্তি আসবে না। আমরা আশা করব, তারা ইসলামী দন্ডবিধি জারি করবেন (স.স.)]