সেন্ট্রাল হাইস্কুল ময়দান, বগুড়া ২২শে অক্টোবর শনিবার : অদ্য বাদ যোহর যেলা শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ বগুড়া যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহু আকবর’ (আল্লাহ সবার চেয়ে বড়) দু’টি শব্দের এই বাক্যটি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এটি মুমিনের ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। এটি সৃষ্টিকর্তার প্রতি সৃষ্টিজগতের স্বভাবজাত ঘোষণা। অতি বড় নাস্তিকও বিপদে পড়লে স্রেফ আল্লাহকে ডাকে। তিনি বলেন, ইতিহাসের পবিত্রতম শ্লোগান হ’ল ‘আল্লাহু আকবর’। এই শ্লোগান বিশ্বাসী হৃদয়ে বিদ্যুতের চমক সৃষ্টি করে। এর ফলে তার মধ্যে বিশ্বজয়ী শক্তির উত্থান ঘটে। আল্লাহর পথে সবকিছুকে সে তুচ্ছ জ্ঞান করে। আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যায় নির্ভীকচিত্তে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার মূল চেতনা হ’ল ‘আল্লাহু আকবর’। এই চেতনাই পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পৃথক রাজনৈতিক মর্যাদা দিয়েছে। এই চেতনাই পূর্ববঙ্গকে ‘বাংলাদেশ’ নামে পৃথিবীর বুকে পৃথক রাষ্ট্রীয় মানচিত্র দান করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ভোরের দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ৪ দিন যাবত বন্দী মেজর জিয়া সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলে সিপাহী-জনতা হাযারো কণ্ঠে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়। সেই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল ‘বিএনপি’ নেতাদের এখন এই শ্লোগানে এলার্জী কেন? এর বিরুদ্ধে বস্ত্তনিষ্ঠ তকমাধারী সাংবাদিক ও কোন কোন পত্রিকার গাত্রদাহ কেন? ‘আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান যে এদেশের মানুষকে কিরূপ উজ্জীবিত করে, সেটা অতি সম্প্রতি সবাই দেখেছে। গত ১২ই অক্টোবর’২২ বুধবার বিকালে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ড ময়দানে ‘বিএনপি’ আয়োজিত জনসভায় সাবেক ডাকসাইটে ‘বিএনপি’ নেতার পুত্রের ‘নারায়ে তাকবীর’ শ্লোগানের সাথে সাথে লাখো জনতার কণ্ঠে উচ্চারিত ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি। কিন্তু পরের দিন ‘বিএনপি’র স্থানীয় এক প্রবীণ নেতা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলে দিলেন যে, এটি তাদের দলীয় শ্লোগান নয়। বরং তার ব্যক্তিগত শ্লোগান’। এতে দলের মধ্যে ও সারা দেশে জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন হ’ল, এর মাধ্যমে নেতারা কাদের খুশী করতে চান? আমীরে জামা‘আত বলেন, কথায় ও কর্মে ‘আল্লাহু আকবর’ শ্লোগানের সত্যিকার অনুসারীরাই এদেশে সর্বদা বিজয়ী থাকবে এবং তারাই আল্লাহর রহমত লাভে ধন্য হবে ইনশাআল্লাহ।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ মশীউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার শিক্ষক হাফেয আব্দুল মতীন, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন প্রমুখ। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর নূর ও ‘আল-‘আওন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাযযাক।

‘আল-‘আওন’ : সম্মেলনে ‘আল-‘আওন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ও যেলা দায়িত্বশীলদের সহযোগিতায় ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে মোট ১৬ জনের ব্লাড গ্রুপিং ও ২৮ জন ডোনর বা রক্তদাতা সদস্য তালিকাভুক্ত হন। এ সময় ‘আল-‘আওন’-এর শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন সমূহ প্রদর্শন করা হয়।






আরও
আরও
.